বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ১১টা ১২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি ২০৭) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বিমানটি ২৪ অক্টোবর (ব্রাসেলস সময়) পৌনে ৭টার ব্রাসেলস জাভেনটেম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আগামী ২৫-২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠেয় ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে’ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রবিবার তার মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ব্রাসেলস সফর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ইইউ তাদের ৫০ বছরের অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ঘোষণা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোরামে যোগ দেওয়ার ফাঁকে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ২৫ অক্টোবর সকালে ইসি’র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন।
এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫ কোটি ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে একটি ১২ মিলিয়ন ইউরো অনুদান চুক্তিও স্বাক্ষরিত হবে।
এই সফরে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর পাঁচটি বিভিন্ন অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করবে। একই দিন শেখ হাসিনা গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ এবং ভাষণ দেবেন। ওইদিন বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ার বৈঠক করবেন।
সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ইসি কমিশনার জেনেজ লেনারসিক এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক ইসি কমিশনার জুটা উরপিলাইনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে উরসুলা ভন ডের লেইনের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। একই দিন বিকালে শেখ হাসিনা বেলজিয়ামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। টিভি চ্যানেল ইউরোনিউজ এবং পলিটিকো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেবে।
আগামী ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।