প্রকাশ: সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:৩৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনার পাথরঘাটায় অপহরণের পর দাবিকৃত ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে হাসিবুল (১৪) নামের ৮ম শ্রেণির মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাতে বরগুনার ডিবি ও পাথরঘাটা থানা পুলিশ হত্যাকারির স্বীকারোক্তি মতে পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইনচটকি গ্রামে বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধের পাশে ড্রামে ভর্তি অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্বার করে।
ডিবি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যা ঘটনার প্রধান আসামি পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বাঁদুরতলা গ্রামের মহিবুল্লাহ'র ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান(১৯) ওরফে তানভীর ওরফে শিশু ফকিরকে রবিবার রাতে চরদুয়ানী শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পরে মৃতদেহ বহনকারী ইজিবাইক চালক রহিম কাজী(৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের সহযোগি সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আঃ রহিম মুন্সী(৪০), ইউনুস (৬৫), জসিম(৩০), তানজীল(২৩), তাহিরা(১৯) ও রহিমা (৪৫)কে আটক করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোমান হত্যাকাণ্ডের সাথে একাই জড়িত দাবি করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, শুক্রবার হাসিবকে পাথরঘাটায় দোকান থেকে পূজা দেখার কথা বলে নিয়ে যায়। পৌর শহরের ইমান আলী সড়কের ভাড়া বাসায় নিয়ে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অজ্ঞান করে।
তারপর হাত-পা, চোখ বেঁধে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করে হাসিবের বাবার মোবাইলে পাঠিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না পেয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় হাসিবকে।
পাঘরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, শুক্রবার হাসিবুল নিখোঁজের পর তার বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন (ডায়েরি নং-৯৯১)। আমরা তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান শুরু করি।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে যৌথ অভিযান করে অল্প সময়ের মধ্যে প্রধান ২ আসামিকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের সম্পৃক্ততা না পেলে ছেড়ে দেয়া হবে।