প্রকাশ: সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩, ৮:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির পাশাপাশি এবার ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভায় এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের পর বিকালে ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) আবেদনও করেছে দলটি।
সভায় জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ বলেছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক দল হিসেবে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু সরকার তা অগ্রাহ্য করে অব্যাহতভাবে গণগ্রেপ্তার চালিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা জাতি আজ এক দফার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। এই অবস্থায় সংসদ ভেঙে দিয়ে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীকে সুশৃঙ্খলভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্বাহী পরিষদ আহ্বান জানানো হয়।
মুজিবুর রহমান বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার পর তারা জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে সাজানো, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নেতাদেরকে ফাঁসির দণ্ড দিয়ে তা কার্যকর করে। বাংলাদেশ আজ রাজনৈতিক নেতৃত্বশূন্য।
তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের কোনো নেতা যেন কথা বলতে না পারেন, সেজন্য নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেজন্য গভীর রাত পর্যন্ত সাক্ষ্য নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজানো দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে একাত্তরের মানবতা বিরোধীদের বিচার শুরু হলে জামায়াতের প্রায় সব শীর্ষ নেতার বিভিন্ন সাজা হয়। এর মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে। এরপর থেকেই মূলত রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থানের কারণে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারানোর পর দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করেনি দলটি। নিবন্ধন না থাকায় ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি জামায়াত।