এ ঘটনা প্রথম প্রকাশ করে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম দ্য সান। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া ফোন নম্বরটি ঋষি সুনাক দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছেন। প্র্যাঙ্ক কলার ফোনের রিং এবং ঋষি সুনাকের একটি ভয়েসমেল রেকর্ডিং শুনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস-সম্পর্কিত প্রতিবেদনের বিষয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যোগাযোগ করেছিল দ্য গার্ডিয়ান। তবে সেখান থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে ডাউনিং স্ট্রিট কখনো মন্তব্য করে না।
বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্র্যাঙ্কস্টাররা একইভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা লঙ্ঘন করে তাঁকে বিরক্ত করছিল। জনসন পরে ফোন নম্বর পরিবর্তন করতে বাধ্য হন।
এখন যদি দ্য সানের প্রতিবেদন সঠিক হয়, তাহলে প্রশ্নের মুখে পড়বেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কারণ, তাঁর সরকার বলেছে, কোভিডকালে বরিস জনসন এবং তাঁর সহযোগীদের স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন-সম্পর্কিত তদন্তের জন্য পুরোনো ফোন বার্তাগুলো আর পুনরুদ্ধারযোগ্য নয়।
ঋষি সুনাক এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে বলেছিলেন, কিছু হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা তাঁদের দিতে পারেননি। কারণ, তিনি বেশ কয়েকবার ফোন পরিবর্তন করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া সাক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দাবি করেছিলেন, তিনি যখন ট্রেজারি চালাচ্ছিলেন (অর্থমন্ত্রী ছিলেন) সেই সময়ের বার্তাগুলো আর তাঁর কাছে নেই। কারণ, তিনি এগুলোর ব্যাকআপ রাখতে পারেননি।
মহামারিকালে জনসন সরকারের কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন নিয়ে সরকারি তদন্তের দ্বিতীয় পর্যায়ের যুক্তিতর্ক চলছে। তদন্তের স্বার্থে ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ পর্যন্ত জনসন ও সহযোগীদের মধ্যে মোবাইল ফোন যোগাযোগের তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।