প্রকাশ: রোববার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে শারদীয় দুর্গাপূজা। বিগত বছরের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নরুপে সেজেছে এবারের পূজামন্ডপগুলো।
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ন মন্দির এবার পূজামন্ডপটি সম্প্রীতির রুপে সেজেছে। এ পাহাড়ে বহু জাতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক যেমন ত্রিপুরা,মারমা, চাকমা ও বাঙ্গালী পোশাকের আদলে তৈরি করেছে মৃৎশিল্পীরা। যা দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ করে তুলছে এবারের পূজার মন্ডপগুলো।
জেলা শহরের খাগড়াপুর অখন্ডমন্ডলি পূজামন্ডপে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেবী দুর্গাকে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ে লোকেরা তাদের নিজস্ব পোশাকে সাজিয়েছে। দেবী দুর্গাকে শাড়ি না পরিয়ে তারা পরিয়েছে তাদের নিজস্ব পোশাক রিনাই, রিসা,রাং বাতাং ও নানান ধরনের গহনাসহ যাবতীয় সব ধরনের ঐতিহ্যবাহীর অবয়বে সাজানো হয়েছে।
খাগড়াপুর এলাকার অখণ্ড মণ্ডলি মন্দিরের আয়োজনে এই চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন নিজস্ব সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে। দেবী দুর্গাকে নিজেদের পোশাকে সাজানো দেখে খুশি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজন। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে শিশু-কিশোর, কিশোরীরাও উল্লসিত। উৎসবের আমেজ ছোট-বড় সবার মধ্যে।
ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোশাক রিনাই রিসাইতে ভিন্ন রুপে দেবী দুর্গাকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তাতে রং তুলির ছোঁয়াও লেগেছে। এতে খুশি আয়োজকেরা। দর্শনার্থীরাও উচ্ছ্বসিত।
খাগড়াপুর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা চামেলী ত্রিপুরা জানান, প্রতি বছরে আমরা ত্রিপুরা নারীদের ঐতিহ্যবাহী নিজেদের সাজে দুর্গা মাকে সাজিয়ে থাকি। দুর্গা মা যেহেতু নারী তাই এমন চিন্তা থেকেই রিনাই- রিসা দিয়ে সাজানো হয়েছে। দুর্গা মণ্ডপ সাজানো হয়েছে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্য মাচাং ঘর(গাইরিং) করে। পুরো পূজা গিরে আমাদের মণ্ডপে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যের আদলে সাজানো হয়েছে। আশা করি এই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা দর্শনার্থীরা পূজায় ত্রিপুরা সমাজের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে ।
খাগড়াছড়ি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, এ বছর খাগড়াছড়িতে ৫৯টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকল ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন শুরু করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। । আশা করি এইবারের পূজা সুন্দরভাবে সম্পাদন করতে পারবো।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা পূজা মণ্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে বিভিন্ন পয়েন্টে। আশা করছিি নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না। এছাড়াও যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে।