প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বাংলাদেশ ভিশন- ২০৪১ কে সামনে রেখে গ্রাম কে শহরে রূপান্তরের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, শিক্ষা সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। আর এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নতুন সড়ক, সেতু নির্মাণসহ পল্লী অবকাঠামোর উন্নয়নে বদলে গেছে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার গ্রামীন জীবন। যার সুফল ভোগ করছেন শালিখা উপজেলার জনসাধারণ। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে মাগুরার শালিখা উপজেলার উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় শহরের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
আর এ সময়েই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২৮৫ কিলোমিটারের বেশি সড়ক কাঁচা থেকে পাকা এবং বিদ্যমান পাকা সড়ক সংস্কার করেছে। এছাড়াও নির্মাণ করা হয়েছে ৯ টি বৃহৎ সেতু এবং ১৬৯টি কালভার্ট। শালিখা উপজেলা এলজিইডির দেওয়া এক তথ্য থেকে জানা যায় বিগত ১৫ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স-৭টি, গ্রোথ সেন্টার- ৪টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষা অবকাঠামো-৯৪টি, খাল খনন -৪টি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন-১টি, হাট-বাজার উন্নয়ন -১৩ টি, সুইস গেট বা রাবার ড্যাম্প রেগুলেটর-২ টি, ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ৭৫০ হেক্টর সহ সার্বজনীন ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫০ টিরও বেশি মসজিদ, মন্দির, শ্মশান, ঈদগাহ ও কবরস্থানের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এছাড়াও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন এবং সীমানা প্রাচীন নির্মাণ সহ নতুন সড়ক নির্মাণ বা সংস্কার কাজে প্রায় শত কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে।
তথ্য থেকে আরো জানা যায় বিগত ১৫ বছরের নতুন সড়ক নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ৩৯৯ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৬ কোটিসহ মোট ৪ শত ৫ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ সাধিত হয়েছে। উপজেলা এলজিইডির দেওয়া ঐ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ২০০৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে যতটুকু উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ গত ১৫ বছরে তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিগত কয়েক দশকের চেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। সারাদেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে শালিখা উপজেলা সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এলজিইডি'র এই উন্নয়নের ফলে শালিখা উপজেলার গ্রামীন অর্থনীতির সমৃদ্ধি হচ্ছে বলেও জানান তারা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের শালিখা উপজেলা প্রকৌশলী শোয়েব মোহাম্মদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘমেয়াদী ও পরিকল্পিত উন্নয়নে মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনা এবং সহযোগিতায় শালিখা উপজেলার গ্রামীন অবকাঠামোর এই অভাবনীয় উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে একদিকে যেমন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চালিকাশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
উন্নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে শালিখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড: কামাল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার সরকার গণমানুষের সরকার, উন্নয়নের সরকার আর এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করতে হলে আবারও জনগণের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে বাংলাদেশের আপামর জনগণের আরো বেশি উন্নয়ন সুযোগ করে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য যে সকল মেগাপ্রকল্প চালু করেছেন তার সবগুলোই সম্পন্নের পথে যার সুফল পাবে এদেশের কোটি কোটি জনসাধারণ।