এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ এল-দ্বীন আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা।
এর কিছু পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে।
তারা জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ছিল জুডিথ ও তার মেয়ে নাতালি রানান। মুক্তি পাওয়ার পর তারা দুজনে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরায়েলে পৌঁছান। এরপর তাদের রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ফ্যাসিবাদী প্রশাসনের দাবিগুলোকে মিথ্যা প্রমাণেই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া সেই বিবৃতিতে হামাস আরও জানিয়েছে, কাতারের প্রচেষ্টায় আল-কাসাম ব্রিগেডস মানবিক কারণে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্ব জানুক বাইডেনের দাবিগুলো ভিত্তিহীন।
মেয়ে ও স্ত্রীর মুক্তির খবরে বেশ খুশি নাতালির বাবা উরি রানান।
তিনি জানিয়েছেন, ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। মেয়েকে খুব ভালো ও খুব উচ্ছ্বসিত শোনাচ্ছিল ফোনে।
নাতালির চাচা আব্রাহাম জমির বলেছেন, দুই স্বজনকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়ায় তাদের পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। তবে এখনও অনেক পরিবারের প্রিয়জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এবং তাদের মুক্তির জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।
মা জুডিথের জন্মদিন উদ্যাপন করতে ইসরায়েলে অবস্থান করছিলেন নাতালি। সবেমাত্র হাইস্কুল পাস করেছে সে। তার মা একজন শিল্পী এবং শিকাগো এলাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন। ইসরায়েলি খাবারের দক্ষ রাঁধুনি তিনি।
ইসরায়েলি বাহিনীর দীর্ঘদিনের চলমান দমন- পীড়ন ও দখলদারিত্বে প্রতিবাদে গত ৭ অক্টোবর সিরিজ রকেট হামলা চালায় হামাস। তাদের হামলায় এক হাজার চারশ’র বেশি ইসরায়েলি নিহত হন। ওইদিন থেকে গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উপত্যকাজুড়ে। অব্যাহত হামলায় ফিলিস্তিনের মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৪ হাজার। বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।