প্রকাশ: শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩, ১২:০৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরে দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন হোটেল-ফ্লাট বাসা-বাড়িতে দিগুন টাকায় ভাড়া দিয়ে তারা আস্তানা বানিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে। তাই সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যয় ‘মুজিব’- একটি জাতির রূপকার সিনেমাটি দেখা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মিরপুরে সনি সিনেমা হলে সিনেমাটি দেখার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। প্রসঙ্গত সাম্প্রতি নানক ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন।
এসময় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, যার যার এলাকায় যে সব দুর্বৃত্তরা থাকবে, আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দিবেন। তারা দায়িত্ব পালন করবে। কোনো অরাজকতা হলে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। ওরা (বিএনপি) নির্বাচন করতে দিতে চায় না। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে-আগামী সংসদ নির্বাচন যেন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপিকে মাউথ ছাড়া পাগলা হাতি মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ওরা দলও চালাতে জানে না, দেশ চালাতে পারবে না। তাই যার যার প্রস্তুতি নিতে হবে। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আগামী যে গণজমায়েত হবে, সেখানে সর্বোচ্চ নেতা কর্মী নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। আগামী ২৮ তারিখ বিএনপি দেশে একটি অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করবে। তাই নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই চলচ্চিত্রটি দেখবেন। বর্তমান প্রজন্মকে এই চলচ্চিত্র দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মোশতাক এবং জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আরেকবার প্রমাণিত হয়। আমাদের স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়েছেন এসব ইতিহাস আমাদের আগামীর প্রজন্মকে এই চলচিত্রের মাধ্যমে জানাতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, আগাঁ খান এমপি, মহানগর উত্তরের সব ইউনিটে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।