প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩, ৭:৪৬ পিএম আপডেট: ২০.১০.২০২৩ ৭:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সংকট শুরু হয়ে গেছে। দিনের বেলায় জ্বলছে না রান্নার চুলা। রাত ১১টার পর থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে এ সময়ে গ্যাস তেমন কাজে লাগে না। সব মিলিয়ে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, রাজধানীর কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, কামরাঙ্গীরচর, রায়েরবাগ, যাত্রবাড়ী, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুর, মুগদা, পান্থপথসহ বেশ কিছু এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। দিনের বেলা এসব এলাকায় গ্যাস থাকে না বললেই চলে। ভোরেই গ্যাস চলে যায়, দুপুরের পর কিছুটা আসে। তবে সন্ধ্যার পর হালকা গ্যাস আসলে তা দিয়ে রান্না করা যায় না। রাত ১১টার পর গ্যাসের চাপ কিছুটা বাড়ে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, সারাদিন গ্যাস থাকে না। গভীর রাতে আসে আবার ভোর হলেই চলে যায়। দিনের বেলায় চুলা জ্বালানো যাচ্ছে না। এমন গ্যাস দিয়ে কী করব। বাধ্য হয়েই হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকেই আবার বিকল্প হিসেবে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। দুই-তিন দিনের খাবার একসঙ্গেও রান্না করছেন কেউ কেউ।
রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সংকটের বিষয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ কম। এছাড়া নতুন করে একটি সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের ফলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার কিছু কিছু জায়গায় গ্যাসের চাপ কম থাকছে। দিনে এসব এলাকায় গ্যাসের চাহিদা ১৮০ থেকে ১৯০ এমএমসিএফডি। সাধারণত ১৭০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হলে কোনো ঘাটতি থাকে না। ঘোড়াশালে নতুন সার কারখানায় দৈনিক ৪০ থেকে ৬০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করায় পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ কমে গেছে। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।