প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:১২ পিএম আপডেট: ১৯.১০.২০২৩ ৯:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মোংলা ও সুন্দরবনের উপকুল জুড়ে চলছে লবনাক্তার আগ্রশন, খাওয়া, গোসল ও নারীদের ব্যাবহৃত কাজে সব সময়ই ব্যাবহার করা হয় লবন পানি। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ ভুগতে হচ্ছে নানা জটিল রোগে। তাই মোংলায় সরকারী সংস্থা পিকেএসএফ এর অর্থায়নে এবং নবলোক সংস্থার বাস্তবায়নে মোংলা পোর্ট পৌর শহরের বটতলা পুকুর সংলগ্ন এলাকায় একটি সুপেয় পানির প্লান্ট উদ্বোধন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক পিএস-২ ড. নমিতা হালদার। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পানির প্লান্টির শুভ উদ্বোধন করেণ।
নবলোক জানায়, এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো মোংলা পোর্ট পৌরসভা সহ উপজেলার প্রতিিিট ইউনিয়নে (পিকেএসএফ) এর সহায়তায় লবন পানির আগ্রশন থেকে বাচঁতে সুপেয় মিস্টি পানির প্লান্ট স্থাপনের। তাই বৃহস্পতিবার নবলোক পরিষদের নির্বার্হী পরিচালক কাজী রাজীব ইকবাল’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভারও আয়োজনেসর মধ্যদিয়ে সুপেয় পানির প্লান্টটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনডিসি ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)র ব্যবস্থপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ’র ডিজিএম তানভীর সুলতানা, মোংলা পোট পৌরসভার সচিব অমল কৃষ্ণ সাহ, প্যানেল মেয়র হুমায়ুন হামিদ নাসির সহ আরো অনেকে। এ সময় মহিলা কাউন্সিলর জাহানারা চানু, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন, নবলোকের অর্থ ও ঋন সহায়তা পরিচালক আলতাফ হোসেন, সহকারি পরিচালক (কর্মসুচি) মোস্তাফিজুর রহমান এবং স্থানীয় উপকারভোগীরা সহ নবলোকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)র ব্যবস্থপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, বলেন, মোংলা পোর্ট পৌরসভা ও উপজেলা জুড়ে লবন পানির হাত থেকে বাচঁতে পারছেনা সাধারণ মানুষ। এখানে মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজনে সুপেয় পানির প্রয়োজন হলেও তা থেকে বি ত থাকে এখানকার নারী,পুরুষ ও শিশুরা। তারা সব সময়ই লবনাক্ততার মধ্যেই চলতে হচ্ছে হচ্ছে ফলে বিভিন্ন রোগাক্রান্ত হয়ে ভুগতে হচ্ছে এ এলাকার মানুষদের। তাই দীর্ঘদিনের দাবী ফলে পিকেএসএফ এর অর্থায়নে এবং নবলোক পরিষদের বাস্তবায়নে মোংলা উপজেলার পৌরসভার ৪, ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং মোংলা উপজেলার সুন্দরবন, মিঠাখালি, সোনাইলতলা ও চিলা ইউনিয়নে এ প্লন্ট গুলো স্থাপন করা হচ্ছে, যার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া এখানে স্থানীয় লোকজন প্রতি লিটার পানির মুল্য পরবে মাত্র ৫০ পয়সা। তাই ২০ লিটার পানি ১০ টাকায় নিতে পারবে সকলেই বলেও জানান তিনি।