প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজ কার্তিক মাস। বাংলা পঞ্জিকায় শরৎকাল। দরজায় কড়া নাড়ছে হেমন্তের নবান্না। শান্ত-নীবর প্রকৃতি। নদী-নালা ও খালে-বিলে কমতে শুরু করেছে বর্ষার পানি। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিনের বেলা তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এদিকে, শীতকালের বাকি আর দেড়ি নেই। ফলে প্রকৃতিতে শীতের আভাস কুয়াশা এসে হাজির।
ইতোমধ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে ভোরের সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের পাতার ওপর বিন্দু বিন্দু শিশির কণা। মনে কড়িয়ে দিচ্ছে শীত যে আসছে। শরতের বিদায় হতে না হতেই হেমন্তকে পাশ কাটিয়ে যেন আগাম বার্তা দিচ্ছে শীত। সন্ধা হতেই শীত অনুভব হচ্ছে দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী ফুলবাড়ী উপজেলায়। সীমান্তবর্তী এ উপজেলা ভারতের হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় অক্টোবরেই আগাম শীতের আমেজ দেখা মেলেছে। দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা ভৌগোলিক অবস্থান ও ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে সন্ধার পর পর বৃষ্টির পানির মতো আকাশ থেকে শীত পড়ছে।
সকাল ৮ থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত দেখা মিলছে ঘন কুয়াশারও। এ অ লে কিছু দিন আগে টানা বৃষ্টির পর বইছে হিমেল হাওয়া, সঙ্গে শুরু হয়েছে কুয়াশা। ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা। এ দিকে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রান্তিক চাষিরা। কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লাল শাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষবাদ করতে শুরু করেছে। সেই সাথে গত এক সপ্তাহ থেকে মধ্য রাতের পর থেকে ঘনকুয়াশা পরছে। এ কুয়াশা সকাল ৯ টা পর্যন্ত বিভিন্ন গাছ ডগা ও ধান ক্ষেতে শিশির জমে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে। রাতে সব বয়সি মানুষদের শরীরে হালকা কাঁথা ও কম্বল জড়াতে হচ্ছে। এ অ লে আগাম শীতের দেখা পাওয়ায় পুরো শীতকাল আসা মাত্রই শীতের ত্রীবতা বেড়ে যাবে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, টানা এক সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, মূলত পৌষ-মাঘ এই দুই মাস শীতকাল ধরা হলেও এ বছর আশ্বিন-কার্তিকের দিকেই শীতের আসতে শুরু করে। তাই শীতকাল আসা মাত্রই এবছর শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।