প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ৩:০৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় শাসকদের সম্মানসূচক ‘দাতো’ উপাধি পেয়েছেন বাংলাদেশের সাতক্ষীরা কলারোয়ার মানিকনগরের মো. আলমগীর হোসেন।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের সুলতান আহমদ শাহ এই খেতাবে ভূষিত করেন তাকে।
সমাজে অবদান, অসামান্য সাফল্য বা পরিষেবার স্বীকৃতিস্বরূপ এটি দেওয়া হয়। দেশটির রাজা কর্তৃক প্রদত্ত সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মানিত খেতাব এই ‘দাতো’।
মো. আলমগীর হোসেন ২০০৯ সাল থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের পুচং-এ পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তিনি ম্যান পাওয়ার জগতের সফল ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত মুখ। তার ঢাকা ও কুয়ালালামপুরে নিজস্ব অফিস রয়েছে।
আলমগীর হোসেন বলেন, পরিশ্রমের বিকল্প নেই। সততা ও নিষ্ঠার সাথে সঠিক পথে কঠোর পরিশ্রম করে এই পর্যন্ত আসা। মানুষের ভালোবাসা ও বিদেশগামী যাত্রীদের দোয়ায় এই সম্মাননা পেয়েছি। এজন্য আমি পাহাং রাজার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আলমগীর হোসেনের বাবা মতিয়ার রহমান বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না থাকায় আলমগীরকে ভালোভাবে পড়াশোনা করাতে পারিনি। তবুও নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। পড়াশোনা চলমান থাকা অবস্থায় কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যায় আলমগীর হোসেন। সেখানে গিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। বর্তমানে অনেক শ্রমিক তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। সম্প্রতি সেখানকার রাজ্যপ্রধান তাকে সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করেছেন। এতে বাবা হিসেবে অনেক গর্ববোধ করছি। নিজের জন্মস্থানসহ সাতক্ষীরার মানুষের জন্য সাধ্যের মধ্যে সবটুকু করার জন্য চেষ্টা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলার চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান লাল্টু বলেন, কলারোয়া উপজেলার আলমগীর হোসেনের যে অর্জন এর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তার এই অর্জনকে সাধুবাদ জানাই। আগামীতে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আরও সম্মানিত করবে এই প্রত্যাশা তার কাছে।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বিশেষ করে শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের মালয়েশিয়ার রাজা বা তাদের রাজ্যের সুলতান কর্তৃক সম্মানসূচক এই উপাধি দেওয়া হয়। এই উপাধি ব্রিটিশ ‘স্যার’র সমতুল্য এবং সর্বদা লিখিত বা মৌখিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এই খেতাবপ্রাপ্তরা মালয়েশিয়ার যে কোনো কাজে ভিআইপি সুবিধা ভোগ করে থাকেন।