অপারেটরদের অসন্তুষ্টির মধ্যেই গত শনিবার রাত ১২টা থেকে ইন্টারনেট গ্রাহকদের জন্য তিন দিন ও ১৫ দিনের ডেটা প্যাকেজ বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন দিনের প্যাকেজ ব্যবহার করত প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানিয়েছিল, তিন দিন মেয়াদে গ্রাহকরা যে পরিমাণ ডেটা পেত, সে পরিমাণ ডেটা একই দামে কিনে সাত দিন ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু তা হয়নি। মোবাইল অপারেটররা এর দাম দেড়গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
৩ ও ১৫ দিন মেয়াদী মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বন্ধ হওয়ার পর ব্যয় বেড়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের। এমন দাবি করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন গ্রাহকরা। তারা বলছেন, ৩ দিন মেয়াদী ১ জিবি ডেটা আগে ৪২ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন এর দাম ৬৮ টাকা। আর অপারেটররা বলছেন, মেয়াদ বাড়ায় সমন্বয় করা হয়েছে দাম।
এর আগে, গত রোববার বন্ধ করে দেওয়া হয় ৩ দিন ও ১৫ দিন মেয়াদী মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ। একই সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের ৯৫টি ইন্টারনেটের প্যাকেজ কমিয়ে ৪০টিতে নিয়ে আসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।
সিদ্ধান্ত কার্যকরের পরই দাম বাড়তে শুরু করে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ৩ দিন মেয়াদী ১ জিবি ইন্টারনেটের দাম ছিল গ্রামীণফোনে ৪৬, রবির ৪৮ ও বাংলালিংকের ৪২ টাকা। বর্তমানে তা পেতে গ্রামীণফোনে ৬৯, রবি ও বাংলালিংকে ৬৮ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। ইন্টারনেটের প্যাকেজের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
অপারেটররা জানান, ৩ দিনের পরিবর্তে মেয়াদ ৭ দিন করায় ৪০টি প্যাকেজেই ডেটা প্যাকেজের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
বেসরকারি অপারেটর রবির চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম বলেন, ‘৩ দিনের যে প্যাকেজগুলো ছিল, সেগুলোকে আমি ৭ দিনে নিয়ে গিয়েছি। সেখানে আমার ভলিউম ও মেয়াদ অ্যাডজাস্ট করার জন্য আমার প্রাইজ হাইকিংটা থাকে। হয়ত বা কাস্টমারের কাছে মনে হতে পারে যে প্রাইজটা বেড়েছে।’
মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম নির্ধারণে গণশুনানির পরামর্শ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের। ইন্টারনেটের দাম কমাতে আদালতের দ্বারস্ত হওয়ার কথাও জানান তারা।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যেখানে কমিশন ও মন্ত্রী বলেছিলেন যে, গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এটা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উল্টো পরিস্থিতিতে পড়তে হলো। কমিশন দ্রুত এটা সমাধান করার জন্য বসে এবং অপারেটরদের কাছ থেকে প্রয়োজনে প্রস্তাব নিয়ে একটা গণশুনানি হোক।’
মোবাইল ইন্টারনেটের এই বাড়তি দাম স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে বাধা বলেও মনে করে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।