প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩, ১:১৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় শরিয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও, পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পুলিশ কর্মকর্তা সুরজ উদ্দিন ও আসামিদের আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ নভেম্বর তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে উচ্চ আদালতের জামিন পাওয়া আসামিদের কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান। পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে গত ১৩ জুন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় তার ব্যাখ্যা দিতে শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে তলব করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়া আসামিদের কারাগারে পাঠানোয় শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করা হয়। এছাড়া উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় পুলিশ মহাপরিদর্শককে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের এ আদেশে গত ২০ আগস্ট পুলিশ কর্মকর্তারা হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ব্যাখ্যা দাখিল করেন।
১৩ জুন সকালে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান।