অপুষ্টি আর খর্বাকৃতির শিশু জন্ম হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে উন্নতি অব্যাহত থাকায় ক্ষুধামুক্তির লড়াইয়ে আরো একটু এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। গত বছর ১১৬টি দেশের মধ্যে অবস্থান ছিল ৭৬তম।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে প্রকাশিত ২০২৩ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকটি প্রকাশিত হয়েছে।
২০২৩ সালের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১৯ পয়েন্ট। গত বছর ছিল ১৯.১ পয়েন্ট। ১৯ স্কোর মানে হল, যেসব দেশে ক্ষুধার সংকট মাঝারি পর্যায়ে, সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।
স্কোরের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তান (৪৯.৬), মিয়ানমার (৪০.২), ভারত (৩৮.৪), নেপাল (৩৭.২), পাকিস্তান (৩৬.৭) ও শ্রীলঙ্কার (২১.৭) চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো।
এই সূচকের সবচেয়ে ভালো স্কোর হলো শূন্য। আর সবচেয়ে খারাপ স্কোর হলো ১০০ পয়েন্ট। স্কোর বাড়লে ক্ষুধার্তের হার বাড়ে আর কমলে ক্ষুধার্তের হার কমে, অর্থাৎ পরিস্থিতির উন্নতি হিসেবে ধরা হয়। পয়েন্টের ভিত্তিতে স্কোর ৫০-এর বেশি স্কোর হলে অতি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি, ৩৫ থেকে ৪৯.৯ হলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি, ২০ থেকে ৩৪.৯ হলো ভয়াবহ পরিস্থিতি, ১০ থেকে ১৯.৯ হলে মাঝারি পরিস্থিতি এবং ৯.৯৯ এর নিচে স্কোর হলে নিম্ন ক্ষুধা বা ভালো পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, অপুষ্ঠি ও খর্বাকৃতির শিশুর জন্মহার কমানোর মাধ্যমে ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৫ সালের পর যে ৭টি দেশ সূচকের স্কোর ৫ পয়েন্ট বা বেশি কমাতে পেরেছে সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে।
এবারের সূচকে সবচেয়ে কম ক্ষুধার শীর্ষ দশটি দেশ হলো– বেলারুশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, চিলি, চীন, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, জর্জিয়া, হাঙ্গেরি, কুয়েত, লাটভিয়া।
আর ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ের থাকা তালিকার তলানি ৯টি দেশ হলো- সাউথ সুদান, বুরুন্ডি, সোমালিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মাদাগাস্কার, ইয়েমেন, ডি আর কঙ্গো, লেসোথো ও নাইজার।