রানের খাতা না খুলেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান লিটন দাস। ট্রেন্ট বোল্টের করা ম্যাচের প্রথম বলে ফ্লিকে বাতাসে বল ভাসান। স্কয়ার লেগে থাকা ম্যাট হেনরি খানিকটা শারীরিক ভারসাম্য হারালেও বল ধরতে ভুল করেননি। শূন্যরানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে টিম টাইগার্স।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে আশা জাগালেও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। তিনি নিজেকে মেলে ধরতে হচ্ছেন ব্যর্থ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। লোকি ফার্গুসনের করা অষ্টম ওভারের শেষ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে কনওয়ের হাতে ক্যাচ দেন। ১৭ বলে ৪টি চারে ১৬ রান করে যান তানজিদ।
দারুণ ছন্দে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ বড় ইনিংস খেলার সম্ভাবনায় ভালোই এগোচ্ছিলেন। এরপর তার যাত্রাভঙ্গ। ফার্গুসনের বলে ৩০ রান করে ডিপ স্কয়ার লেগে ম্যাট হেনরির তালুবন্দি হন, ৪৬ বলে ৪ চারের ইনিংস খেলে।
গ্লেন ফিলিপস ১৩তম ওভারে বল হাতে নিয়েই পান সাফল্য। লেগ সাইডে শট খেলেন ৭ রান করা শান্ত। মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন কনওয়ে। দ্রুত ৪ ব্যাটার হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
পরে খাদের কিনারা থেকে টাইগারদের টেনে তুলেছেন সাকিব ও মুশফিক। ২৭তম ওভারের প্রথম বলে ফার্গুসনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন মুশফিক। ৫২ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ৫টি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
৩০তম ওভারে লোকি ফার্গুসনের উপর চড়াও হন সাকিব। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান মিডঅনের উপর দিয়ে। পরের বলেও একইভাবে খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ধরা পড়েন টম লাথামের হাতে। ৫১ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।
সাকিব ফেরার পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন মুশফিক। ৩৬তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৭৫ রানে হেনরির শিকার হন মুশফিক। ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৫ বলে ৬৬ রান করে ফিরে যান বোল্ড হয়ে।
৩৮তম ওভারের পঞ্চম বলে বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হন হৃদয়। ২৫ বলে ১৩ রান করেন। হৃদয়ের উইকেট তুলে নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের ২০০তম উইকেট পূর্ণ করেন বোল্ট। ১০৭ ইনিংসে এমন মাইলফলক স্পর্শ করেন কিউই পেসার।
৪২তম ওভারের পঞ্চম বলে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান ২০০ পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর ভালোই খেলছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে ইনিংস লম্বা করতে করতে পারেননি তিনি। দুই ছক্কায় ১৯ বলে ১৭ রান করে ফেরেন তিনি। ৪৫তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২১৪ রানে ড্যারিল মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে মিচেল স্যান্টনারের শিকার হন তাসকিন।
৪৮তম ওভারের শেষ বলে হেনরির দ্বিতীয় শিকার হন মোস্তাফিজ। উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজের শিকার হয়ে ধরা পড়েন লাথামের হাতে। ১০ বলে ৪ রান করেন।
পরে শরিফুল ইসলামকে নিয়ে ইনিংষ শেষ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টাইগার অলরাউন্ডার অপরাজিত ছিলেন ৪৯ বলে ৪১ রানে। শরিফুল ৩ বলে দুই রানে।
কিউইদের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন লোকি ফার্গুসন। ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস নেন একটি করে উইকেট।