প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩, ১:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, দখলদার ইসরায়েল বিশ্ব শান্তির অন্তরায়। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত মুসলমানদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসী হামলা বিশ্বমুসলিম উম্মাহ সহ শান্তিকামী মানুষের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের দেশে দেশে শান্তিকামী মানুষের প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার বিকল্প নাই।
হানাদার ইসরায়েলি বাহিনী বিগত ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনের জনগণের আবাসন ভূমি ও সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান পূণ্যভূমি মসজিদুল আকসা জবরদখল করে রেখেছে। এছাড়াও এই দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর বর্বর গণহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে ছেন স্বাধীনতাকামীদের দমনের নামে ইসরাইল প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনি শিশু-নারী ও বৃদ্ধ মানুষকে খুন করছে, নির্যাতন করছে। গত কয়েকদিনে জায়নবাদী ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে তা নজিরবিহীন। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত মুসলমানদের ওপর অবৈধ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এই আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
কয়েক দশক ধরে দখলদার ইসরাইলীদের নির্মম অত্যাচারে ফুঁসছে ফিলিস্তিনের মুসলমানরা। এখন সেই নির্যাতিত মুসলমানরা ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের দম্ভকে চূর্ণবিচূর্ণ করে নিজেদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে একটি স্মরণীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এমতাবস্থায় মুসলিম বিশ্বকে একসাথে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং প্রকৃত সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ইসরাইলের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজাকে ‘নির্জন দ্বীপে’ পরিণত করার যে হুমকি দিয়েছে তা ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলের প্রতিহিংসাপরায়ণতার আরেকটি উদাহরণ।
বস্তুত ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান অপরাধমূলক তৎপরতার বিপরীতে ফিলিস্তিনিরা আত্মরক্ষার অধিকার থেকে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ পরিচালিত করেছে। বস্তুত জাতিসংঘের উপর্যুপরি প্রস্তাবেরর পরও স্বাধীন ফিরিস্থিন রাষ্ট্র মেনে নিতে ইসরায়েলের অস্বীকার, আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরায় ইহুদিদের অনুপ্রবেশ, ফিলিস্তিনিদের বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতিস্থাপন এই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করে রেখেছিল। সাম্প্রতিক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঘটনা তারই পরিণতি স্বাধীন ফিলিস্থিন রাষ্ট্র গঠনই এ ধরনের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের ঘটনার একমাত্র সমাধান। এখনই ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে জাতিসঙ্ঘসহ সকল দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক জোরালো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর অনুরোধ জানাই।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ