প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩, ১১:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের ৫দিনের জোড়ে লাখো মুসল্লির সমাগমে মূখরিত হয়ে উঠেছে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের বামনশূলে কিংস্টার হাউজিং।
গতকাল তাবলীগের দিল্লীর নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের আমীর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ৩ছেলে সহ মাওলানা আব্দুস সাত্তার সাহেবের জিম্মাদারীতে তাবলীগের র্শীষ ১৫জন মুরুব্বিরা ময়দানে এসে পৌছেছেন। মাওলানা সাদ কান্ধলভির বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি আজ শুক্রবার জুমার নামাজ পড়াবেন বলে জানাযায়। সাদ কান্ধলভির অন্য দুই ছেলে হলেন—মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্ধলভি এবং ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভি।
তাবলীগ জামাতের সূত্রে জানা যায়, ৫৬ বছর ধরে টঙ্গীর ময়দানে বিশ্ব ইজতেমার স্বাগতিক দেশ ও প্রস্তুতি হিসাবে এই জোড় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবছর টঙ্গির ময়দানের পরিবর্তে কেরানীগঞ্জে অনুষ্ঠিত হচ্ছে । জোড়ে তাবলীগের পুরো বছরের সারাদেশের কাজের রিপোর্ট পেশ করা হয়, আবার আগামি এক বছরের কাজের পরিকল্পনা নেয়া হয়। জোড় থেকে দেশি-বিদেশি জামাত বিশ্ব ইজতেমার দাওয়াতের জন্য পাঠানো হয়। বিশ্ব ইজতেমার মতোই এ জোড়েও তাবলীগ জামাতের মূলধারা কেন্দ্রীয় বিশ্ব মারকাজ দিল্লীর নিজামুদ্দিনের মুরুব্বিগন গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন।
এ বিষয়ে কাকরাইল মসজিদের শীর্ষ মুরুব্বিরা জানান, ৫ দিনের জোড় তাবলীগের একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী আয়োজন। এর সফলতার উপরই টঙ্গীর ময়দানে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি ও আগামি এক বছরের কাজ অগ্রগতি নির্ভর করে। আল্লাহ যেন এই জোড়কে উম্মাহর হেদায়তের জড়িয়া হিসাবে কবুল করেন।
তাবলীগের সাথী ও মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, টঙ্গির ইজতেমায় গতবছর বিশ্ব আমীর মাওলানা সাদ সাহেবের ছেলেরা এলেও ৫দিনের জোড়ে প্রথমবারের মতো তাদের অংশ গ্রহনে তাবলীগের সাথীরা ব্যাপক উচ্চাসিত। ১৩ অক্টোবর শুক্রবার বাদ ফজর থেকে জোড় শুরু হওয়ার কথা থাকলে হাজার হাজার মুসল্লী বৃহস্পতিবার থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। এই জোড় ১৭ অক্টেবর মঙ্গলবারে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। তাবলীগ জামাতে ৩ চিল্লার সাথী ও ১ চিল্লা সময় লাগিয়েছেন এমন উলামায়ে কেরাম কেবল এই জোড়ে শরীক হয়েছেন।
জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকার মুহতামিম বিশিষ্ট আলেম ও মুবাল্লিগ মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ' জানান, এই ৫দিনের জোড়ে ১৬টি দেশে প্রায় ৮শ বিদেশি মেহমান উপস্থিত হয়েছেন। বিদেশি মেহমানরা বিশ্ব ইজতেমা পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় দাওয়াতি কাজ করবেন। এছাড়া বাংলাদেশ ২লক্ষের মতো ৩ চিল্লার সাথী আছেন, ইনশাআল্লাহ এই জোড় ইজতেমায় দেড় লক্ষাধিক ৩ চিল্লার সাথী উপস্থিত হবেন।