লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। তারা দু’জনে মিলে নির্বিঘ্নে ৫ ওভার কাটিয়ে দেন।
এর পরেই যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন অজি ব্যাটাররা। ব্যাট হাতে ধুঁকতে থাকা মিচেল মার্শকে দিয়ে শুরু উইকেট পতন শুরু হয় অজিদের। এরপর নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরের পথ ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার (১৩) ও স্টিভ স্মিথ (১৯)।
পরে উইকেটে আসেন জশ ইংলিস। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তিনিও। রাবাদার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫ রান করেন।
নিয়মিত বিরতিতে টপ অর্ডারদের হারিয়ে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে তার কাছেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ম্যাক্সওয়েল (৩)।
তার দেখানো পথেই হেটেছেন আইপিএলে লখনৌ-এর হয়ে খেলা মার্কাস স্টয়নিসও। ঘরের মাঠে মাত্র ৫ রান করেছেন তিনি।
খাদের কিনারা থেকে মিচেল স্টার্কের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন মার্নাশ লাবুশেন। তবে এ জুটিতে আঘাত হানেন জানসেন। ম্যাচের ৩৪তম ওভারে স্টার্ককে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। এর পরের ওভারেই মার্নাশ লাবুশেনকে বাভুমার তালুবন্দী করেন মহারাজ।
সাজঘরের ফেরার আগে অজি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন লাবুশেন। তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন অ্যাডাম জাম্পা। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুধু হারের ব্যবধান কমান অজি দলপতি প্যাট ক্যামিন্স।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা।
এর আগে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট ক্যামিন্স। প্রোটিয়াদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। শুরু থেকেই দেখে খেলছেন ডি কক ও বাভুমা। এ দু’জনের ব্যাট থেকে আসে ১০৮ রান।
অজি শিবিরে ভয় ধরানে এ জুটি ভাঙেন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাচের ২০তম ওভারে ম্যাক্সওয়েলের বলে ওয়ার্নারের তালুবন্দী হন টেম্বা বাভুমা। আউট হওয়ার আগে ৩৫ রান করেন তিনি।
পরে বাইশ গজে এসেই মাঠের চারপাশ থেকে রান তুলতে থাকেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। অবশ্য উইকেট থিতু হওয়ার পর অ্যাডাম জাম্পা ঘূর্ণিতে অ্যাবটকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এ ব্যাটার (৩৫)।
এরপর ক্রিজে আসেন এইডেন মার্করাম। এর পরেই প্যাট ক্যামিন্সকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডি কক। যা এবারের আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তার। অবশ্য সেঞ্চুরির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি।
ম্যাক্সওয়েলের বলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড হয়েছেন ডি কক। বোল্ড হওয়ার আগে ১০৮ রান করেন এ প্রোটিয়া ওপেনার।
তার বিদায়ে উইকেটে এসেছেন হেনরিখ ক্লাসেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন মার্করাম। পরে ফিফটিও তুলে নেন মার্করাম। কিন্তু ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেনি তিনি। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে প্যাট ক্যামিন্সের বলে হ্যাজেলউডের তালুবন্দী হন তিনি।
মার্করামের পর সাজঘরে ফিরে যান হেনরিখ ক্লাসেনও। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়েছে প্রোটিয়ারা। তবে চাপ সামলে শেষ মুহূর্তে ডেভিড মিলারের ও জানসেনের ক্যামিও ইনিংসে প্রোটিয়ারা থামে ৩১১ রানে থামে টেম্বা বাভুমার দল।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল স্টার্ক।