প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩, ৪:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামবে পুলিশ। সড়কে পণ্য পরিবহনের গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। কেউ বাজার অস্থিতিশীল করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সাভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাজারে পণ্যের স্বল্পতা নেই। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে সংকট তৈরি হয়। আগে দৌলতদিয়া ঘাটে অনেক কাঁচা মাল আটকে থেকে পচে যেতো। পদ্মা সেতু হওয়ার পর সেখানে এখন আর কোনো মালামাল আটকে থাকছে না।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘(বাজার নিয়ন্ত্রণে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মনিটরিং কমিটির সঙ্গে পুলিশও থাকবে। প্রয়োজনে বড় বড় বাজারে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে পুলিশ অংশ নেবে, যাতে যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাজার অস্থিতিশীলতার শঙ্কায় আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো শঙ্কা নেই। সমন্বয়ের কিছুটা অভাব রয়েছে। আমাদের যে মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে, এটা ভোক্তা অধিকার বা পুলিশের পক্ষে একা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারিত হয় চাহিদা-যোগানের ভিত্তিতে। সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশ তাল মিলিয়ে চলছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সব সময় আন্তরিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রতিনিয়ত বাজারের খোঁজ-খবর নিয়ে থাকেন, কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে কী না খোঁজ নেন। বাজারে কেউ যেন কোনো ধরনের অপতৎপরতা তৈরি করতে না পারে তা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে আজ আমরা সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসেছি। যেকোনো সিন্ডিকেট ও যেকোনো অপতৎপরতা সমূলে নষ্ট করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর আছে। যেকোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মাছ, চাল ও সবজি উৎপাদনে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। দেশের দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এমন থাকার কথা নয়। যা হয়েছে সেটা হলো সমন্বয়ের অভাব। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে, সবাই সহযোগিতা করলে অবশ্যই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।