প্রকাশ: বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রোহিত শর্মার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানকে একেবারে উড়িয়ে দিল ভারত। আগে ব্যাট করে ভালো একটা সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল আফগানরা। ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন, ম্যাচটা হবে জমজমাট। কিন্তু তা আর হলো কই! উল্টো ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারানোর পাশাপাশি নেট রান রেটে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠেছে ভারত।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেটে ২৭২ রান সংগ্রহ করেছিল আফগানিস্তান। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত। বাকি ছিল আরো ৯০ বল।
ভারতের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন রোহিত শর্মা ও ঈশান কিষাণ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন রোহিত। অন্যদিকে ঈশান ছিলেন ধীরস্থির। মাত্র ৩০ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন দ্য হিটম্যান। রোহিত-ঈশানের জুটিতে মাত্র ১২ ওভারেই দলীয় শতক পূরন হয় ভারতের।
আপন গতিতে ছুটতে থাকা রোহিত সেঞ্চুরির দেখা পান ৬৩ বলে। যা বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাঝে দ্রুততম। তিনি ভেঙে ফেলেন ২০০৭ আসরে গড়া বীরেন্দর শেবাগের ৮১ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড।
অন্যপ্রান্তে ঈশান ছিলেন ফিফটির পথে। তবে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে রশিদ খানের শিকারে পরিণত হন তিনি। রোহিতও ফেরেন রশিদের বলেই। এর আগে খেলেন ৮৪ বলে ১৩১ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস।
ভারতের ইনিংসের বাকিটা নির্বিঘ্নে এগিয়ে নেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ার। ম্যাচ শেষে দুজন যথাক্রমে ৫৫ ও ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। রশিদ খান ছাড়া আর কোনো আফগান বোলারই উইকেট পাননি।
এর আগে মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ রান যোগ করেন দুজন।
জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার হয়ে ২২ রানে ইব্রাহিম ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এর কিছু পর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে পরাস্ত হন গুরবাজও। তিনি করেন ২১ রান। তার বিদায়ের পরপরই ফেরেন ১৬ রান করা রহমত শাহ। এরপর বড় জুটি গড়ে দলটি।
হাশমতউল্লাহ শাহিদী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে ভর করে দ্রুত এগোতে থাকে আফগানরা। ২৪ ওভারে দলীয় সেঞ্চুরির ঘরে পৌঁছায় আফগানিস্তান। এরপর আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।
ইনিংসের চারদিকে দারুণ সব শটে ৬২ বলে ফিফটি পূরণ করেন ওমরজাই। তার পরপরই ফিফটির দেখা পান শাহিদী। ৫৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন আফগান অধিনায়ক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শতরানের জুটি গড়েন দুজন।
শাহিদী ও ওমরজাইয়ের ব্যাটে ভর করে ম্যাচ নিজেদের হাতে নিচ্ছিল আফগানরা। এমন সময় ওমরজাইকে ফিরিয়ে দুজনের ১২১ রানের জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। ওমরজাই আউট হন ৬২ রানে।
এর কিছু পর শাহিদীও সাজঘরে ফেরেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন তিনি। শেষদিকে রশিদ খানের ১৬ রানের ক্যামিওতে লড়াকু সংগ্রহ পায় আফগানরা। ভারতের সেরা বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ একাই চার উইকেট শিকার করেন।