প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:১১ পিএম আপডেট: ১০.১০.২০২৩ ১০:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঝুঁকিতে রয়েছে গিদারি নদীর উপর নির্মিত একটি পুরাতন ব্রিজ। উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত গিদারি নদীর উপর দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই পাকিস্তান আমলে নির্মিত ব্রিজটি।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পানির তীব্র স্রোতে যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন ওই ইউনিয়নের ৬ গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করে। ব্রিজটি ধসে গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে এসব মানুষ।
খবর পেয়ে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ব্রিজটি রক্ষার চেষ্টা করে পাউবো। স্থানীয় কেউ কেউ খাল খননকে দায়ী করলেও পাউবো বলছে, স্থানীয় কিছু লোক মাছ ধরার জন্য ব্রিজের দুই ফটকের একটি বন্ধ করে দেয়। ফলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে আরেকটি ফটকে তীব্র বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ার ব্রিজের ভাটিতে নিচের মাটি ভেসে যায়।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, প্রায় ৫৫ বছর পূর্বে ১৯৬৮ সালে উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত গিদারি নদীর উপর ১০ মিটার আয়তনের গ্রামীণ ব্রিজটি নির্মাণ কর হয়। গত বছর ওই নদীটি খনন করে পাউবো। এতে পানির স্রোত বেড়ে যায়। অন্যদিকে ব্রিজটির একাংশ বস্তা দিয়ে বেঁধে অন্য অংশে মাছ ধরে স্থানীয় কিছু লোকজন।
কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানির স্রোত বেড়েছে। গত শনিবার রাতে ভারী বৃষ্টির পর ব্রিজের নিচের মাটি সরে যায়। মাঝের পিলারের অর্ধেক অংশ খসে যায়।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চাকলিরপাড়, কাগজিপাড়া, আমভদ্রপাড়া, জটিয়াপাড়াসহ ছয়-সাতটি গ্রামের দু’পাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার ১৫ হাজারের অধিক মানুষ চলাচল করে এ সড়কে। শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে লোকজনের খুব সমস্যা হবে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজের দুই পাশে ৫০ মিটার করে খনন করি না। এখানে তাই করা হয়েছে। ওই এলাকার লোকজন একদিক বন্ধ করে রাখায় এবং এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়াতে ঝুঁকিতে পড়ে। খবর পেয়ে ব্রিজটি রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।