আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান করেছে ইংল্যান্ড। অর্থাৎ জিততে হলে ৩৬৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। ফলে জিততে হলে নতুন রেকর্ডই গড়তে হবে টাইগারদের। কারণ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩২১ রান তাড়া করে জিততে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ জয় পেয়েছিল দলটি।
তবে শুরুতে ইংলিশদের তেমন কোনো অস্বস্তিতে ফেলতে না পারলেও শেষ দিকে দারুণ বোলিং করে টাইগাররা। অন্যথায় ইংলিশদের পুঁজি ৪০০ রানের বেশি হওয়াও অসম্ভব ছিল না। শেষ ৬৫ বলে ৭০ রান করতে পারে ইংল্যান্ড। এ সময় সাতটি উইকেট নিয়েছেন সাকিবরা। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ১০ ওভার বল করে ৭৫ রানের খরচায় পান ৩টি উইকেট। মাহমুদউল্লাহর জায়গায় সুযোগ পাওয়া শেখ মেহেদী হাসান ৭১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন।
এদিন শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে হতাশা উপহার দিয়েছেন দুই ওপেনার মালান ও জনি বেয়ারস্টো। শুরুর দিকে কিছুটা দেখে খেলেছেন। এরপর ধীরে ধীরে খোলস খুলে আগ্রাসী হতে থাকেন তারা। গড়েন ১১৫ রানের জুটি। ১৮তম ওভারে নিজের পঞ্চম ওভার বল করতে এসে এ জুটি ভাঙেন সাকিব। কিছুটা জোরের উপর বলটি করেছিলেন টাইগার অধিনায়ক। ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান বেয়ারস্টো। বল কোনো বাঁক না খেয়ে ভাঙে স্টাম্প। ভাঙে ১০৭ বলে স্থায়ী ১১৫ রানের জুটি। ৫৯ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন এই ওপেনার।
বেয়ারস্টো ফিরলেও জো রুটকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন মালান। গড়েন আরও একটি শতরানের জুটি। ১১৭ বলেই ১৫১ রানের জুটি গড়েন তারা। মালানকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন শেখ মেহেদী হাসান। তার ভেতরের দিকে ঢোকা বলে হাঁকাতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান মালান। তবে এর আগেই দলের পুঁজি বড় করে নিজেও তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ১০৭ বলে ১৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এই সেঞ্চুরিতে নতুন একটি বিশ্বরেকর্ডও গড়েন মালান। সবচেয়ে কম ইনিংসে ছয়টি সেঞ্চুরি পান তিনি। ছয়টি সেঞ্চুরি তুলে নিতে ২৩টি ইনিংস খেলতে হয়েছে তাকে। ২৭ ইনিংসে ছয়টি সেঞ্চুরি তুলে এতোদিন এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম-উল-হক। এছাড়া একই ক্যালেন্ডার ইয়ারে চারটি সেঞ্চুরি তুলে ছুঁয়েছেন জাতীয় রেকর্ড। এর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে একই ক্যালেন্ডার ইয়ারে চারটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড গাওয়ার।
এরপর অধিনায়ক জশ বাটলারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হ্যারি ব্রুক। ১৪ বলে ৩০ রানের জুটিও গড়েন তারা। তবে তৃতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে ১১ রানের ব্যবধানে তিনটি উইকেট তুলে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান শরিফুল ইসলাম। বাটলারকে বোল্ড করে দেওয়ার পর রুটকে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। তবে এর আগে ৬৮ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন রুট। নিজের ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও ১টি ছক্কায়।
এরপর ফের মঞ্চে আসেন শেখ মেহেদী। ৭ রানের ব্যবধানে জোড়া ধাক্কা দেন ইংলিশ শিবিরে। তুলে নেন ব্রুক ও স্যাম কারানকে। ফলে লেজ বেরিয়ে যায় দলটি। ফলে ডেথ ওভারে সে অর্থে আগ্রাসী হতে পারেনি ইংল্যান্ড।