প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:৫৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলপথে ভাঙ্গা জংশন হয়ে পৌঁছাবেন ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে। যোগ দেবেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায়। প্রধান অতিথি হিসেবে সেখানে ভাষণ দেবেন তিনি।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ভাঙ্গাজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। রং-বেরঙের ব্যানার আর ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে সড়কের আশপাশ। জনসভায় প্রায় দুই লাখ লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশা আয়োজকদের।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। তিনি সার্বিক প্রস্তুতির খোঁজখবর নেন। এসময় সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা যায়।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টায় প্রথমে মাওয়া রেলস্টেশনে পৌঁছে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের। এরপর বিকেল ৩টার দিকে রেলপথে পৌঁছাবেন ভাঙ্গা জংশনে।
এদিকে ভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসভাস্থল ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সড়কের সংস্কার ও প্রশস্ত করা হয়েছে। জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন। এরইমধ্যে ভাঙ্গায় জনসভার মঞ্চ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে। আগামী বছরের জুনে যশোর পর্যন্ত রেল চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১০ অক্টোবর কমলাপুর থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে যাবে। পদ্মা সেতুর আগে মাওয়া স্টেশনে হবে সুধী সমাবেশ। সেখানেই উদ্বোধনের কার্যক্রম হবে। এরপর ট্রেনে উঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাঙ্গায় যাওয়ার কথা রয়েছে।