প্রকাশ: সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:১৮ পিএম আপডেট: ০৯.১০.২০২৩ ১০:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মাগুরার শালিখায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ছাদের সবজি বাগান। এতে করে একদিকে যেমন ছাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরদিকে সবজির চাহিদাও মিটছে সমানে। ছাদের কার্নিশ ও বেলকনির মিনি ছাদের পুরোটা জুড়েই তৈরি করা হচ্ছে ছাদ বাগান। ছোট ছোট টবে মাটি ভর্তি করে রোপন করা হচ্ছে গাছগুলো। বাঁশ ও চটার সাহায্যে তাবুর কাঠামো তৈরি করে উপরে পলেথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে যাতে অতিরিক্ত রোদ ও বৃষ্টি না লাগে। তার উপরেই বাঁশ-চটার সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে মাচাং। যার উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চাল কুমড়া ও পুঁইশাকের গাছ। মাচাং এর চারপাশে বড় বড় টবে মাটি ভরাট করে লাগানো হয়েছে মরিচের চারা। তার পাশেই বর্গাকৃতির টবে বুনা হয়েছে লাল বা পালং শাক। দেখে মনে হচ্ছে শূন্যের উপর একখন্ড জমি।
পুঁইশাক, মরিচ, ঢেঁড়শ, চালকুমড়া, বরবটি, পালং শাক, উচ্ছে, ঝিঙেসহ নানাবিধ সবজি চাষ করা হচ্ছে ছাদের উপরেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিজের আবাদি জমি না থাকলেও কিছুটা স্বস্তি পেতে ছাদ বাগানের দিকে ঝুঁকছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা।
উপজেলার শতখালী আড়পাড়া, কাতলী, বুনাগাতিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনি চিত্র চোখে পড়ে। ছাদ বাগানে সবজি চাষের সাথে লাগানো হচ্ছে পেয়ারা, মাল্টা, কাগজেলেবুসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছ। যেখান থেকে ফল সংগ্রহ করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বাজারেও। উপজেলা সদর আড়পাড়া গ্রামের ছাদ বাগানের চাষী জাফর মুন্সী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাদে দেশি-বিদেশি ফলের চাষ করছি। নিজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের মাঝেও বিলি করি।
অপর একজন ছাদবাগানী আড়পাড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের রাজু আহমেদ। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের এলাকার জমিগুলো মূলত ধানী জমি যেখানে সবজি চাষ করা অসম্ভব। ফলে আমাদের এলাকায় সবজির মূল্য বেশি। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ছাদের উপর সবজি বাগান করেছি। যেখান প্রতিদিনের সবজির যোগান পাওয়ার পাশাপাশি সবজির বাগানের কারনে ছাদের নিচে ঠান্ডা থাকে ফলে আমরা গরমে একটু স্বস্তি পাই। ছাদে সবজি বাগান করে সেখান সবজি উৎপাদন করা মধ্যবিত্বের জন্য সময় উপযোগী একটি ভালো পদক্ষেপ বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, ছাদ বাগান একদিকে যেমন ছাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে অপরদিকে পরিবারের দৈনন্দিন জীবনে সবজি ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসে। তিনি আরো বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে যেসব ছাদ বাগানীরা আমাদের নিকট আসছে তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি কেউ যদি ছাদ বাগান করতে আগ্রহী থাকে তাহলে আমাদের দপ্তর থেকে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।