তিনি বলেন, আমরা যা করছি এটা একটা সাময়িক, তাৎক্ষণিক, জীবনরক্ষাকারী সংক্ষিপ্ত ব্যবস্থা। উনার মূল অসুখ হচ্ছে সিরোসিসজনিত পোর্টাল হাইপারটেনশন। যতক্ষণ পর্যন্ত সিরোসিসজনিত পোর্টাল হাইপারটেনশনের সঠিক, সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা করা না হবে, ততোদিন পর্যন্ত উনার অবস্থার অবনতি এবং জটিলতা হতেই থাকবে। সেই চিকিৎসা হচ্ছে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিসটেমিক সান্ট (টিপস)। এর পরবর্তীতের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট।'
লিভারের সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে বেগম জিয়ার। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাকে দুইবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে, বলেও জানান তিনি।
প্রিস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। জরুরিভিত্তিতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসকেরা।
বেগম জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পর্যন্ত ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। ২৪ ঘণ্টাই তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, আমাদের হাতে আর কিছু নেই, যা কিছু করার ছিল করেছি। উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। টিপস পদ্ধতির চিকিৎসা। দুই বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে বেগম জিয়ার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না, উনার অবস্থা এত গুরুতর হতো না। টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বাংলাদেশে হয় না।