প্রকাশ: রোববার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩, ৬:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলে ৪৪ সেনাসহ অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। এতেই থেমে থাকেনি হামাস যোদ্ধারা। সীমানা প্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও ঢুকে পড়ে তারা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও নিশ্চিত করেছে, হাসপাতালে আহতের সংখ্যা ২০৪৮ এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর এবং ৩৩০ জন গুরুতর আহত। হামলার ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পরেও সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় বন্দুকধারীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে ইসরায়েলেও হু হু করে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০০ ছাড়িয়েছে।
সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতির তত অবনতি হচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় লড়াই চলছে। তাছাড়া গাজার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামালা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়েছে।
মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গতকাল ভোর থেকে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের একটি অভিযান শুরু করে হামাস।
ফিলিস্তিনি এ গোষ্ঠীর হামলায় প্রথমে ২৬ সেনা নিহতের তথ্য জানিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে আজ রোববার ইসরায়েল সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ৪৪ সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ সদস্য নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা পুলিশ, সীমান্তরক্ষী এবং সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী ইয়ামামের সদস্য ছিলেন।
আরও ফিলিস্তিনি যোদ্ধা দক্ষিণ ইসরায়েলের মাগেন শহরে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো। ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ট্যাংক ব্যবহার করে বড় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পাল্টা বন্দুক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধরা।
এদিকে, রোববার (৮ অক্টোবর) অধিকৃত সেদরত শহরের ইসরায়েলি বসতি লক্ষ্য করে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হামাস। নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য জানায় হামাসের সশস্ত্র শাখা, আল-কাসাম ব্রিগেড। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাকে হতাহতের তথ্য জানা যায়নি।