প্রকাশ: শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে গত ৪ দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও শক্রবার ভোর রাতের প্রবল বর্ষণে সাতক্ষীরার পৌরসভাসহ ৪টি উপজেলার বিস্তৃর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে ছোট বড় পুকুর ও মৎস্য ঘের। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। অপরিকল্পিত ভাবে নদী খনন হলেও বেতনা ও কপোতাক্ষ নদে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বাড়ির আঙিনা এবং উঠানে পানি থৈ থৈ করছে।
ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে আছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে মানুষ চলাচল করছে।
শক্রবার (৬অক্টোবর) ভোর রাতের প্রবল বর্ষণে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ৬ নং ওয়ার্ডে। পূর্ব-পশ্চিম ও দক্ষিণ বুধহাটার প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজসহ রান্নাবান্নার কাজও করতে পারছে না এলাকাবাসী।
বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশাশুনি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও তাদের ঠিকাদার বেতনা নদী খনন করে মাটি নদীর দুই তীরে বিশাল উচু করে স্তুপাকারে রাখার কারণে এলাকার কোন পানি নদীতে নিষ্কাশন হতে পারছে না। একই সাথে তারা বেতনার মহেষরকাটি স্লুইচ গেট মাটি ফেলে ভরাট করে রেখছে। তার জন্য খাল দিয়েও পানি সরতে পারছে না। এমনকি হিমখালি খালে অবৈধভাবে নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে পানি সরে না। স্থানীয় আব্দুস সালাম ও আব্দুর রব মেম্রো এবং জেলা মৎস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে ঘের করার কারণে পানি নিস্কাশন হতে না পেরে জলাবদ্বতার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেন না।
এদিকে বৃষ্টির কারনে পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভার পারকুকরালি, মাছখোলা, কামাননগর, মধুমল্লারডাঙ্গী, রসুলপুর, পুরাতনসাতক্ষীরাসহ পাশ্ববর্তী নিন্মাঞ্চলের শত শত পরিবার। এছাড়া তালা উপজেলা সদরের মাঝিয়াড়া, খড়েরডাঙ্গা, মুড়াকুলিয়া উত্তরপাড়া, জেয়ালা নলতার নিকারি পাড়া, তেঁতুলিয়া ও খলিষখালীর নিন্মাঞ্চল ও আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গোজুয়াকাটি, ফটিকখালি, রাউতাড়া, গোয়ালডাঙ্গা ও দক্ষিন বড়দল।
এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৪ দিন ধরে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে কাজে বের হতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় এলাকার ৩০টি পয়েন্টে জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ ঝুকির মধ্যে রয়েছে।