সিরিয়ার হোমস প্রদেশের একটি সামরিক একাডেমিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ড্রোন হামলার ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়া যুদ্ধের পর্যবেক্ষক সংস্থা দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সেখানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের অর্ধেকের বেশি সামরিক একাডেমির স্নাতক ডিগ্রিধারী। বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন ১৪ জন।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানার খবরে সেনাবাহিনীর বিবৃতির বরাতে জানানো হয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংস্থা সামরিক একাডেমির স্নাতক ডিগ্রি প্রদানের অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালায়। এই আয়োজনে ক্যাডেট ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাই নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
বিবিসির খবর বলছে, হামলার পেছনে ‘আন্তর্জাতিক শক্তির মদদ রয়েছে —এমন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ জড়িত বলে অভিযোগ করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ধারণা করা হচ্ছে, বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোনটি হোমসের বিরোধী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে পাঠানো হয়েছে।
সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল কমান্ডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিকেলে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ামাত্র একাধিক ড্রোন থেকে একযোগে হামলা চালানো হয়। এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কড়া জবাব দেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এর আগে সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। তবে দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, হামলায় ১২৫ জন আহত হয়েছেন।
সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশনের খবর বলছে, এই ভয়াবহ হামলার পর তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে সিরিয়া সরকার। আজ শুক্রবার থেকে এই শোক শুরু হয়েছে।