কিউইদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। ক্রিস ওকসের প্রথম ওভারেই ১০ রান নেন কনওয়ে। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইল ইয়ংকে জস বাটলারের তালুবন্দী করেন স্যাম কুরান। এ ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন তিনি।
এরপর বাইশ গজে আসেন রাচিন রবীন্দ্র। উইকেটে এসেই মাঠের চারপাশ থেকে রান তুলতে থাকেন তিনি। ম্যাচের ২৭তম ওভারের প্রথম বলে এক রান নিয়ে আসরের প্রথম সেঞ্চুরির তুলে নেন কনওয়ে। এরপর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাকিয়েছেন তার সতীর্থ রাচিন রবীন্দ্রও। ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করতে ৮২ বল খেলেছেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার।
জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে কনওয়ে ১৫২ ও রবীন্দ্র ১২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
মূলত কনওয়ে-রবীন্দ্র জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ২৭৩ রান। যা কিউইদের ইতিহাসে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে সর্বোচ্চ রান। অপ্রতিরোধ্য এ জুটির কাছে লজ্জার হারে মাঠ ছেড়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
এদিন ইংলিশদের হয়ে একমাত্র উইকেট শিকার করেন স্যাম কুরান।
এর আগে টস হেরে কিউইদের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। ম্যাচের শুরুতে দেখে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার। প্রথম পাঁচ ওভার নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দিয়েছেন দুজন।
ম্যাচের অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে ম্যাট হেনরির বলে সাজঘরে ফেরেন ডেভিড মালান। আউট হওয়ার আগে ১৪ রান করেন তিনি। পরে ক্রিজে আসেন জো রুট। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন বেয়ারস্টো। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার পর স্যান্টনারের বলে ড্যারিল মিচেলের তালুবন্দী হন জনি।
তার বিদায়ে উইকেটে এসেই মাঠের চারপাশ থেকে রান তুলতে থাকেন হ্যারি ব্রুক। কিন্তু রাবিন রবীন্দ্রর ঘূর্ণিতে পুল করতে গিয়ে ডেভন কনওয়ের তালুবন্দী হন। এর পরপরই গ্লেন ফিলিপসের বলে বোল্ড হন মঈন আলী।
চার উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে ইংলিশরা। তবে দলের হাল ধরতে উইকেটে আসেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। পরে দলীয় ইনিংসে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি আসরের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছে ডানহাতি জো রুট। ম্যাচের ৩০তম ওভারের চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে নিজের অর্ধ শতক পূর্ণ করেন তিনি।
এরপরই উইকেটে থিতু হওয়া বাটলার ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। ম্যাট হেনরির বলে লাথামের তালুবন্দী হওয়ার আগে ৪৩ রান করেন ইংলিশ দলপতি।
পরে উইকেটে আসেন লিয়াম লিভিংস্টোন। কিন্তু ২০ রানে তিনিও সাজঘরে ফিরে যান। তার বিদায়ে উইকেটে আসেন স্যাম কুরান। ম্যাচের ৪২তম ওভারের প্রথম বলেই রুটকে বোল্ড করেন ফিলিপস। আউট হওয়ার আগে ৭৭ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংলিশ বাহিনী। দলের হাল ধরতে উইকেটে এলেও দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ক্রিস ওকস (১১)। এর পরপরই লাথামের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন স্যাম কুরানও (১৪)। তার বিদায়ে ম্যাচের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় কিউইরা।
শেষ মুহূর্তে মার্ক উড এবং আদিল রশিদ জুটিতে ২৮২ রানে থামে ইংলিশদের ইনিংস। এতে কিউইদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৮৩ রান।
এদিন নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ম্যাট হেনরি। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নিজেদের ঝুলিতে ভরেছেন মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস।