সমুদ্রনগরী কক্সবাজারে সাতদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল ২০২৩। সমাপনী দিনে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ‘কেএইচএন ও চিরকুট’র অনবদ্য পারফর্মেন্স-এর মধ্য দিয়ে শেষ হল দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ উৎসব।
সাতদিনব্যাপী এ উৎসবে পর্যটনসংশ্লিষ্ট নানা প্রতিষ্ঠান, পোশাক, খাবার, প্রসাধনীসহ ক্ষুদ্র ও বৃহৎ উদ্যোক্তাদের প্রায় তিন শতাধিক স্টল নিয়ে সাজানো হয় পর্যটন মেলা। অন্যদিকে, শহরের লাবনী পয়েন্টে সমুদ্রের তীর ঘেঁষে আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক উৎসব। এতে আঞ্চলিক নাচ-গান, ব্যান্ড ও একক সংগীতের পারফর্মেন্স এ মেতে ওঠে আগত লাখো পর্যটক ও কক্সবাজারবাসী।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মাহমুদ দিদারের পরিচালনায় ইষ্টিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সাতদিন ব্যাপী সার্কাস প্রদর্শনী ‘দি বিউটি সার্কাস’। সমাপনী দিনে পারফর্ম করে নবাগত ব্যান্ড ‘কেএইচএন টিউন রকং উইং’ ও ব্যান্ড ‘চিরকুট’।
লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ‘কেএইচএন’-এর থ্রাশ মেটাল গান আর ‘চিরকুট’র ‘আহারে জীবন’র মত জনপ্রিয়সব গানে গভীর রাত অব্দি শ্রোতাদের হর্ষধ্বনীতে সমুদ্রের জোয়ারও যেন আরও উত্তাল হয়ে ওঠে।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ কার্নিভালে সরকারী নানা সংস্থার পাশাপাশি আয়োজন সহযোগি ছিল ইষ্টিশন কমিউনিকেশন্স।
আয়োজনটি প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রুদ্র হক বলেন, জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগ কক্সবাজারকে উৎসবের নগরীতে পরিণত করেছে। সাতদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনটি অব্যহত থাকলে এটি দেশের অন্যতম বড় সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হতে পারে। আমরা এ আয়োজনে প্রথমবারের মতো যুক্ত করেছি দেশের বিলুপ্তপ্রায় সার্কাসশিল্পকে। দেশসেরা শিল্পীরা গান করেছেন। আঞ্চলিক নাচ-গানের শিল্পীদের জন্য পারফর্মেরও বড় মঞ্চ হয়ে উঠছে এটি। সবমিলে জেলা প্রশাসন সত্যিই ধন্যবাদ পাবে এমন আয়োজন করার জন্য।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মাহমুদ দিদার বলেন, এ আয়োজনটিতে আমার নির্মিত চলচ্চিত্র বিউটি সার্কাস প্রথমবারের মত পর্দার বাইরে বাস্তবে নেমে এল। বিউটি সার্কাস এখন আর বড়পর্দায় নয়, দেখা যাবে বাস্তবে। আমরা সারাদেশে সার্কাস আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। যার প্রথম ধাপ এ উৎসবে অংশগ্রহণ।
পুরো আয়োজনে গান পরিবেশন করে ঐশী, লিজা, তানজীর তুহিন, কুদ্দুস বয়াতী, শফি মণ্ডল, কেএইচএন, ব্যন্ড চিরকুটসহ অনেকেই। ঘুড়ি উৎসব, বালুর ভাস্কর্য, বিচ ভলিবল, জেটস্কি শো, সার্ফিংসহ আরও নানা বর্ণিল আয়োজনে সাতদিন ধরে মেতে শেষ হয়েছে ‘পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল ২০২৩’।