প্রকাশ: বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মা নদীর ৪৫ কেজি ওজনের একটি বিপন্ন বাগাড় মাছ ৬১ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছে মোহাম্মদ আলী বেপারী নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী। মাছটি ৬৫,থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করবে বলে তিনি জানান।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের অদূরে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় জেলেদের জালে বিশাল এ মাছটি ধরা পড়ে।
মাছের আড়ৎদার দুলাল মন্ডল জানান, মঙ্গলবার ভোরে পাবনা জেলার জেলে শ্যামল হালদার পদ্মা নদীতে জাল ফেলে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় সকাল ৬টার দিকে জালে ঝাকি দিলে বুঝতে পারেন বড় কিছু আটকা পড়েছে। জাল গুটিয়ে নৌকায় তোলার আগে দেখেন বিশাল এক বাগাড়। বাগাড়টি তুলতে জেলেদের অনেক বেগ পোহাতে হয়। মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে আমার আড়তে নিয়ে আসেন। মাছটি নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বেপারী বাগাড় মাছটি ক্রয় করেন।
দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ আলী বলেন, ভোরে নদীতে বিশাল বাগাড় মাছ ধরা পড়ার খবর পেয়ে বাজারে আসি। সকাল ৭টার দিকে দুলাল মন্ডলের আড়তে বাগাড়টি তোলা হলে উম্মক্ত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১৩৫০ কেজি দরে ৪৫ কেজি মাছ প্রায় ৬১ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেই। মাছটি ৬নম্বর ফেরি ঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেধে রাখলে ঢাকামুখী বহু মানুষ বাগাড়টি দেখতে ভিড় করেন। মাছ ৬৫থেকে ৭০ হাজার টাকা হলে বিক্রি করে দিবো। মাছটি ছবি তুলে দেশের বিভিন্ন সৌখিন মাছ ক্রেতার নিকট পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করি ভালো দামে মাছটি বিক্রি করতে পারবো।
গোয়ালন্দ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী সদর মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল-রাজিব বলেন, বাগাড় মাছ সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী আইনে চলে গেছে। এই আইনে বাগাড় মাছ শিকার, ক্রয় বিক্রয়, পরিবহন করা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের জন্য সর্ব্বোচ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে। মৎস্য সংরক্ষন আইনে না থাকায় আমরা কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না।