বিলটি পাসের ফলে আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সরকারি অর্থায়ন বজায় থাকবে। তবে এতে ইউক্রেনের জন্য নতুন কোনো সহায়তা রাখা হয়নি।
হাউস অব স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ৪৫ দিনের এই তহবিল বিলের প্রস্তাব দেন। পরে তা কংগ্রেসের উভয় কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস ও সিনেটে পাস হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।
হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে বিলটি ৩৩৫-৯১ ভোটে পাস হয়। আর সিনেটে পাস হয় ৮৮–৯ ভোটে। বিলটিতে রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্র্যাটরা বেশি সমর্থন দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, মার্কিন প্রশাসন আশা করছে, ইউক্রেনে সহায়তা ইস্যুতে আলাদা একটি ভোটাভুটি হতে পারে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়ন করার যে বিল আনা হয়েছিল, কট্টরপন্থী রিপাবলিকানরা তা বাতিল করেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম যাতে বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারকে তহবিল জোগানোর মেয়াদ ৩০ দিন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিল আনা হয়েছিল হাউসে। কিন্তু সেই বিল ২৩২-১৯৮ ভোটে হেরে যায়। সেই বিলে রিপাবলিকানদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি অভিবাসন সীমিত করার প্রস্তাব ছিল।
শাটডাউন হলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পার্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ৪০ লাখ কেন্দ্রীয় কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যেত। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যেত আর্থিক খাতের নজরদারি থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার তহবিল।
মাত্র চার মাস আগে জাতীয় ঋণসীমা বৃদ্ধি নিয়ে দেশটির প্রধান দুই রাজনৈতিক দল যেভাবে পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে চলে গিয়েছিল, তখনো এই শাটডাউনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন তা এড়ানো গেলেও এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমানে প্রভাব পড়েছে—ক্ষুণ্ন হয়েছে দেশটির ভাবমূর্তি।