নবনিযুক্ত কমিশনার তার পরিদর্শন কার্যক্রমের প্রথমে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের স্মৃতিতে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন করেন। পরে ফোর্সের বিভিন্ন ব্যারাক, মেস, রান্নাঘর ও জিমনেসিয়াম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি ব্যারাকে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তাদের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি জনবান্ধব, আধুনিক ও মানবিক পুলিশ গঠনের লক্ষ্যে ফোর্সের কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বহুতল বিশিষ্ট আধুনিক ভবন নির্মাণের মাধ্যমে ফোর্সের আবাসন সংকট নিরসনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পুলিশ লাইনসের মেসগুলো পরিদর্শনের সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এসময় তিনি ফোর্সের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় মৌসুমি ফলের পরিমাণ বাড়াতে নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে খাবারের মান উন্নয়নে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের জিমনেসিয়াম পরিদর্শনকালে নবনিযুক্ত কমিশনার ফোর্সের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানসিক সুস্থতার জন্য শরীরচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বাংলাদেশ পুলিশের খেলোয়াড়দের জন্য স্থাপিত জিমনেসিয়াম নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শিগগির ফোর্সের জন্য একই মানের একটি জিমনেসিয়াম স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান।
এ সময় নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ফোর্সের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। পুলিশ ফোর্সের কল্যাণে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) একেএম হাফিজ আক্তার, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) সাইফুল্লাহ আল মামুন এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স) আর এম ফয়জুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।