বুবলীর উপরই আস্থা ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলা আ. লীগ নেতাকর্মীদের
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফারজানা রাব্বী বুবলীকে গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় আওয়ামী লীগ ও তাঁর সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
ফারজানা রাব্বী বুবলী ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ফুলছড়ি সাঘাটা আসনের বিগত ৭ বারের এমপি সাবেক ডেপুটি স্পীকার জনপ্রিয় জাতীয় নেতা প্রয়াত এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিঁয়ার কন্যা। এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি থাকাকালে ফুলছড়ি সাঘাটা উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। পিতাঁর পাশে থেকে এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড নিবির ভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন ফারজানা রাব্বী বুবলী।
বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে বুবলীর আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাছাড়া দীর্ঘদিন রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বুবলীর সাথে দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর এ থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বুবলীর উপরই আস্থা রাখতে চান আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নাছিরুল আলম স্বপন,জানান ফারজানা রাব্বী বুবলী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করে এবং প্রয়াত ডেপুটি স্পীকার জাতীয় নেতা এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিঁয়ার কর্ম ও সৃষ্টি থেকে শিক্ষা নিয়ে ফুলছড়ি সাঘাটা উপজেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে নিজেকে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সোহেল, ঘুড়িদহ ইউনিয় আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফরুল মিয়া, কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন মিয়া, ভরতখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর ইসলাম জুয়েল, সাঘাটা ইউনিয়ন, যুবলীগের সভাপতি সোহেল রানা সওদাগর,এই প্রতিবেদকে জানান ফারজানা রাব্বী বুবলী ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হলেও সাঘাটা উপজেলায় আওয়ামীলীগকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
কখনও সরাসরি উপস্থিত হয়ে,আবার কখনও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দলের সাংগাঠনিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং সাংগঠনিক কর্মসূচী সহ নেতা কর্মীদের বিপদে আপদে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছেন।
ইতিপূর্বে প্রয়াত ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া ছাড়া আর কোন নেতাকে এভাবে সাংগঠনিক কর্মসূচী সহ নেতাকর্মীদের বিপদে ব্যক্তিগত তহবিল হতে অর্থ সহায়তা করতে দেখা যায় নাই। ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান বাদল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহমুদ হাসান সুজা, উড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আযম সরকার, ফুলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান আলী, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুবেল, গজারিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান জানান ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ফুলছড়ি, গজারিয়া, এরেন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর, উড়িয়া এই ৫টি ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র নদীর চরাঞ্চলে অবস্থিত। কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের আংশিক নদীগর্ভে এবং শুধুমাত্র উদাখালী ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গন কবলিত নয়।
নদীভঙ্গনের সাথে যুদ্ধ করে ফুলছড়ি উপজেলার মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। নদী ভাঙ্গন কবলিত অবস্থায় মানুষের জন্য বুবলী আপার সবসময় প্রাণ কাঁদে। সুযোগ পেলেই বুবলী আপা হঠাৎ করেই নৌকা নিয়ে কিংবা অন্য কোন ভাবে অসহায় মানুষসহ নেতা কর্মীদের বাড়ীতে গিয়ে হাজির হন। খোঁজ খবর নেন এবং প্রয়োজনে আর্থিক সহয়তা সহ সব ধরনের সহয়তা করেন।এরকম একজন রাজনৈতিক নেতা পাওয়া এ যুগে সত্যিই বিরল। তাই আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বুবলীর উপরই আস্থা রেখে এমপি নির্বাচিত করতে চান।