প্রকাশ: বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সাধারণত নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেয়ার জন্য এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যেসব দেশে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত, বিনিয়োগ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। আবার অনেক সময় প্রতিশোধ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মেক্সিকো, কলাম্বিয়ার ১০ মাদক কারবারির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে উৎপাদন ফেন্টানাইল এবং পাচার বন্ধ করতে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে এই অবৈধ ফেন্টানাইল।
অবৈধ ফেন্টানাইল, কোকেন এবং অন্যান্য মারাত্মক মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধীরা। তাদের লক্ষ্য করে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত দশ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে মেক্সিকোর সিনালোয়া গ্রুপের ৯ সদস্য এবং কলম্বিয়ার ক্ল্যান ডেল গলফোর শীর্ষ এক নেতা।
এর আগে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাশিয়া, চীনসহ চারদেশের মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। অন্যান্য দেশের মতোই বিশ্বের মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি সম্পর্কিত নীতিমালার দেখ-ভাল করে থাকে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার রাশিয়া,চীন, ফিনল্যান্ড ও জামার্নির মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে রাশিয়াকে ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় ১১টি চীনা ও পাঁচটি রুশ প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রাশিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিও তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রযুক্তি রপ্তানি করতে পারবে না মার্কিন সরবরাহকারীরা।