বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা- উন্নয়নের অগ্রযাত্রার একটি পরম্পরা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, শেখ মুজিব ছিলেন আদর্শ, দর্শন ও আলোর মশাল। সেই মশাল নিয়ে এগিয়ে চলছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কাউকে তোয়াক্কা না করে দেশের মঙ্গলে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনা বারবার ফিরে আসে না।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় এটিএম শামসুল হক মিলনায়তনে (সিরডাপ) সম্প্রীতি বাংলাদেশের আয়োজনে ‘বাংলাদেশের জয়যাত্রা : বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সংবিধান তৈরি করে দিয়ে গেছেন, সেই সংবিধানের আলোকে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। সংবিধানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না।
হত্যাকারীদের বিচারের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজাকারের মৃত্যু হয় না, তারা পরম্পরায় চলে আসে। তারা চোখে কেবল চার তারকা পতাকা দেখে। লাল সবুজ পতাকা তাদের ভালো লাগে না।
জয় বাংলা স্লোগানকে তারা ভয়ঙ্কর ভাবে দেখে, তাদের গায়ে জ্বালা দেয়। বারবার তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে। এদেশে আবারও সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।’
আলোচনায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়েছেন। তাকে হত্যা করে সেই অসাম্প্রদায়িকতা নষ্ট করা হয়েছে। সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চলে, যা পাকিস্তানের অত্যাচারের মতোই ছিল। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকরা আশঙ্কা করেছে, নির্বাচনকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হতে পারে। অর্থাৎ আমরা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে ব্যর্থ হয়েছি। এটা রাষ্ট্র ও রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা।
বক্তারা আরো বলেন, যেখানে দাঙ্গা হয়েছে, নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ধর্ম বর্ণ বা সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ করেননি। সার্বভৌম দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে তিনি জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। সেই ধারাকে অব্যাহত রেখে তারই কন্যা জাতিসংঘে ১৯ বার বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামউদ্দিন ভুইয়া, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপক অসীম সরকার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়।