প্রকাশ: বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ২:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমএমসি ডে উপলক্ষে সোমবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হয়। বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিজের মতো করে দিনটি উদযাপন করেন। মেডিকেল কলেজের শহীদ রাইসুল হাসান অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ব্যাচভিত্তিক পরিবেশনা চলছিল। অনুষ্ঠান চলাকালে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল হাসানের সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে শুরু করে। সে সময় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি অনুপম সাহার লোকজনও মঞ্চে গিয়ে পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু হয়। তখন দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঞ্চের সামনে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ সিনিয়র শিক্ষকরা। সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকও ছিলেন। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা হাতাহাতি ও মঞ্চে ভাঙচুর শুরু করে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলে জরুরি সভা ডাকা হয়। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফতাব উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি, মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খুরশেদ আলমকে সদস্য এবং ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শোহাব নাহীয়ানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মেডিকেল কলেজে এমএমসি ডে উপলক্ষে অনুষ্ঠানে মঞ্চে প্রবেশ করে থাই গ্লাস ও কিছু ইলেকট্রনিকসামগ্রী ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার রাতেই থানায় একটি জিডির আবেদন করেছেন মেডিকেল কলেজের সচিব রফিকুল ইসলাম। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সাধারণ ডায়েরি হিসেবে গ্রহণ হয়নি। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল হাসান বলেন, ‘সভাপতির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। অতি উৎসাহী কয়েকজন ঘটনাটি ঘটিয়েছে। যারা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপম সাহা বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিরোধ থেকে ঘটনা ঘটেনি। অনুষ্ঠানে নিজেদের উপস্থাপনা নিয়ে জুনিয়র দুটি ব্যাচ মুখোমুখি হলে ছাত্রলীগের স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে দেওয়া হয়।’
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবদুল কাদেরের ভাষ্য, চিহ্নিত দু-একজন ছেলে বারবার ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।