পিঠের ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপে খেলা হয়নি তামিমের। আশা ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই মাঠে ফিরবেন। ফিরলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলের সদস্য হতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ওপেনার। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেছিলেন ৪৪ রানের ইনিংস। কিছুটা নার্ভাস থাকলেও খুব বেশি অস্বস্তি দেখা যায়নি তামিমের। যদিও ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাঁহাতি ব্যাটার নিজের অস্বস্তির কথা জানালেন।
পরে নির্বাচক ও মেডিক্যাল বিভাগকে নিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেছেন তামিম। বাঁহাতি ব্যাটারের বক্তব্য ছিল তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হলে যেন ফিটনেসের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়।
তামিমের বিশ্বকাপ দলে না থাকা নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘তামিম ইকবালের অনেক দিন ধরেই ইনজুরি শঙ্কা। আপনারাও জানেন, ও ইনজুরি নিয়ে লড়াই করছিল। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ফিটনেস ফিরে পেয়েছে। প্রথম ম্যাচ খেলার পর একটা অভিযোগ এসেছে। ওর ফিটনেসের কথা চিন্তা করে, ইনজুরির যে উদ্বেগ আছে সেটা মাথায় নিয়েই ওকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়নি।’
যদিও তামিমের বাদ পড়া নিয়ে ক্রিকেটপাড়ায় নানা গুঞ্জন আছে। তার মধ্যে বিশেষভাবে যেটি আলোচিত, সেটি হচ্ছে তামিমকে নাকি টিম ম্যানেজমেন্ট শর্ত দিয়েছিল। নির্দিষ্ট কিছু ম্যাচের বাইরে তাকে খেলানো হবে না! তামিম এসব মানতে পারেননি। এই নিয়ে সাকিব ও তামিমের মধ্যে নাকি কথাকাটকাটিও হয়েছিল!
মাশরাফির ফেসবুক পোস্টেও এমন কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তামিমকে নিয়ে পোস্টের নিচের অংশে প্রশ্ন রেখেছেন সাবেক অধিনায়ক, ‘এখন প্রশ্ন হতে পারে তামিম কেন দলে থাকতে চাইলো না। আসলে সে উত্তর আমার কাছে নাই। সেটা একমাত্র তামিমই বলতে পারে।’
হ্যাঁ, তামিমই বলবেন! অপেক্ষা কেবল কয়েক ঘণ্টার। এরপরই জানা যাবে, আসলেই কি হয়েছিল!