প্রকাশ: বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:৫৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পরিবেশের ভারসাম্য ও দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে পর্যটন শিল্পে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস- ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পর্যটন খাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিষেবা খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ খাতের বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। কিন্তু করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব এবং ক্রমবর্ধমান গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন পর্যটন খাতকে ব্যাপকভাবে ঝুঁকিতে ফেলেছে।’
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “বৈশ্বিক ঝুঁকি ও সংকট থেকে এ খাতকে পুনরুদ্ধারে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। পর্যটন শিল্পে নিয়োজিত জনশক্তির জন্য প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, ধরিত্রীর জন্য টেকসই অবকাঠামো, সবুজ রূপান্তর ও সমৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবন, উদ্যোগ ও প্রযুক্তিতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগে উৎসাহিত করা অতীব জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প খুবই সম্ভাবনাময় একটি খাত। এদেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা সৌন্দর্য ও অসংখ্য স্বতন্ত্র পর্যটন সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থান। এসব অঞ্চলে পর্যটন শিল্প বিকাশ লাভ করলে বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিত উপায়ে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।’
‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। খবর: বাসস