প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:৪৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪০তম ব্যাচে প্রথম বর্ষ থেকেই ফলাফলে প্রথম নুসরাত জেরিন জেনী। টানা চার বছর প্রথম স্থান ধরে রেখে স্নাতক শেষ করেন। স্নাতকোত্তরে থাকা অবস্থায় ষোড়শ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) সহকারী জজ নিয়োগের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানেও পেয়েছেন সফলতা। সারাদেশে হয়েছেন প্রথম।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে আসছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী নুসরাত জেরিন স্নাতকে ৩ দশমিক ৮৩ সিজিপিএ অর্জন করেছেন। স্নাতকোত্তরেও সর্বোচ্চ সিজিপিএ আশা করছেন তিনি। স্নাতকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গোল্ড মেডেলের জন্য নমিনেটেড হয়েছেন। বর্তমানে স্নাতকোত্তরে পড়ছেন।
নুসরাতের জন্ম গাইবান্ধায়। বেড়ে উঠেছেন বগুড়ায়। বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া থেকে জিপিএ–৫ নিয়ে এসএসসি পাস করেন এবং সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। সহকারী জজ নিয়োগের এটি দ্বিতীয় পরীক্ষা তাঁর। এর আগে ১৫তম বিজিএস পরীক্ষা দেন। নুসরাত জেরিন বলেন, স্নাতকের যেদিন ভাইভা শেষ হয়, তারপরই একটা সার্কুলার পাই। সেটাতে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, রোববার রাতে নুসরাত জেরিনের ছাত্রলীগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের-৪০তম ব্যাচের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট নুসরাত জেরিন এবার বাংলাদেশে বিজেএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। নুসরাত জেরিন জেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখা সোনার বাংলা বিনির্মানে নেতৃত্ব দিবে।
এর আগে ১৩তম বিজেএস পরীক্ষায় শিউলী নাহার, ১৪তম বিজেএস পরীক্ষায় সুমাইয়া নাসরিন ও ১৫তম বিজেএস পরীক্ষায় আশিক উজ জামান প্রথম হয়েছিলেন। তারা সবাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।