ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে বিধ্বস্ত হয়ে এশিয়ান গেমসে সোনার আশা বাদ দিতে হয়েছে গতকালই। আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান, যাদের বিপক্ষে এর আগে ১৬ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি জয়ের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশ মেয়েদের ক্রিকেট দলের। সেই পাকিস্তানকেই উড়িয়ে দিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
হাংজুতে পাকিস্তানকে ৬৪ রানে আটকে দেওয়ার পর বাংলাদেশ জিতেছে ৫ উইকেটে। এবারের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রথম পদক এটিই।
২০১০ ও ১৪ সালের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল রৌপ্য পেয়েছিল। দুই টুর্নামেন্টেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে স্বর্ণ হারিয়েছিল। এবার সেই পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে আগত কর্মকর্তারা প্রায় সবাই ব্রোঞ্জ জয়ের মুহূর্ত উদযাপন করতে এসেছেন।
ব্রোঞ্জ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৬৫ রান। হাংজুর উইকেটে এই রান তোলাও রীতিমত কষ্টকর। রান তাড়া করতে বাংলাদেশকে ১৮ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করতে হয়েছে। ৬৫ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ স্বাভাবিক সূচনাই করেছে। শামীমা সুলতানা ও সাথী রাণী ওপেনিং জুটিতে ২৭ রান করায় ভালো ভিত পায় বাংলাদেশ। ৩৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট পড়লে বাংলাদেশ একটু চাপে পড়লেও। পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিক রান করে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌছান।
পাকিস্তান স্পিনার নাশা সান্ধুর তিন উইকেট বাংলাদেশকে খানিকটা চাপে রাখে। পাকিস্তান বাজে ফিল্ডিং ও ক্যাচ ড্রপ না করলে বাংলাদেশকে জয় পেতে আরো বেগ পেতে হতো। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অবশ্য চাপে ভেঙে পড়েনি।
এর আগে ৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আগেরদিন টস জিতে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বিস্মিত করেছিল সবাইকে। এবার আর সেই ভুল করলেন না টাইগ্রেস দলপতি।
সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং নিলেও আজ অবশ্য বোলিং নিয়েছে বাংলাদেশ। এই সিদ্ধান্ত বেশ কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে স্বর্ণা আক্তার তিনটি,সানজিদা মেঘলা দুইটি,মারুফা, নাহিদা একটি করে উইকেট নেন। পাকিস্তানের আরেকটি উইকেটের পতন হয় রান আউটে। পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আলীয়া রিয়াজ সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন।