প্রকাশ: রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল। পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষরা।রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে ৮৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে হওয়া ৮৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ ২৫৯.৪ মিলিমিটার এবং রংপুরে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আরও দুদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে গঙ্গাচড়া বাজারসহ উপজলার নয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া তলিয়ে গেছে আমন ধানসহ শাক সবজি খেত।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বাবুপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রী বিষ্ণু চন্দ্র রায় (২৭)বলেন, রংপুর শহরে রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চলে। তিন দিন থাকি বৃষ্টির কারণে কাজে যাইতে পারি নাই। এতে করে সংসার চালাতে কষ্ট হয়েছে। আরও কয়দিন যে বৃষ্টির জন্য বাড়িত থাকা লাগে।
একই গ্রামের অটো চালক রিপন মিয়া (২৫) বলেন, একদিন রিকশা নিয়ে বের হতে না পারলে দেনা বেড়ে যায়। শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে বাইরে মানুষের চলাফেরা কমে গেছে। অটো চালা বন্ধ করে ঘরে বসে দিন পার করছি।
গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের ধামুর গ্রামের কৃষক শ্যামল রায় (৩৫) বলেন, তিন দিন থাকি ধান পানিত ডুবি আছে। আর কয়েক দিন থাকলে ধান নষ্ট হয়া যাবে।
গঙ্গাচড়া কৃষি অফিসের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এখন ধানের মৌসুম। এই বৃষ্টি ধানের জন্য খুবই উপকারী। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ধান ও সবজি ক্ষেতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যা পানি নেমে যাওয়ার পর বোঝা যাবে।