আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, আজ যে বিএনপি বড় বড় কথা বলে, তাদেরকে তৃতীয় গ্রেডের সন্ত্রাসী দল ঘোষণা করেছিল আমেরিকার ফেডারেল কোর্ট।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। গতকাল দেখলাম বিএনপি নেতৃত্ব ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আমেরিকার ভিসা নীতির পরে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চান জনগণের কাছে যান। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করার জন্য আমেরিকা ভিসা নীতি করেছে। নির্বাচনকে বিএনপি-জামায়াত যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায় রাজপথে তাদেরকে মোকাবিলা করা হবে।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, তোমাদেরকে এ দেশের লোকজন চেনে। তোমরা ক্ষমতায় থাকতে দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।
তারেক রহমানের মতো পলাতক সন্ত্রাসীর হাতে দেশের মানুষ ক্ষমতা তুলে দেবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ সিনিয়র নেতা বলেন, আপনারা (বিএনপি) কার হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চান? চুরির দায়ে, হত্যা, সন্ত্রাস, লুটপাটের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে যে পলাতক আছে। সেই চোর, সন্ত্রাসের হাতে দেশের মানুষ ক্ষমতা তুলে দেবে? পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এ দেশে মানুষ কোনো খুনির হাতে ক্ষমতা তুলে দেবে না।
হানিফ বলেন, বিএনপি স্বপ্ন দেখছে, ভাবছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ষড়যন্ত্র মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। আমর পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এ দেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ। কোনো বিদেশি শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।
শেখ হাসিনার ওপর দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ আস্থাশীল উল্লেখ করে হানিফ বলেন, যে সরকারের ওপর দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ আস্থাশীল সেই সরকারকে হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। নির্ধারিত সময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে নির্বাচনে অংশ নিন। জনগণের কাছে যান। অতীতের হত্যা, সন্ত্রাসের জন্য ক্ষমা প্রাথনা করুন। জনগণ ক্ষমা করে দিতে পারে।
শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সদস্য আনোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, যুলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষকলীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।