বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এই অভিযোগের ফলে তাকে দেশের ক্রিকেটে এক প্রকার অলিখিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রাখা হয়নি আসন্ন বিপিএলের ড্রাফট তালিকায়ও।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, নাসিরের বিরুদ্ধে আইসিসি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। কারও বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ এলে যে কোনো টুর্নামেন্টে তার অংশগ্রহণে সীমাবদ্ধতা আসে।
বিসিবির অবস্থান অনুযায়ী অভিযোগ সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত নাসির বাংলাদেশের কোনো ধরনের টুর্নামেন্টেই অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির অধীনে থাকায় বোর্ডেরও কিছু করার নেই।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগের ২০২১ আসরে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন, আচরণবিধি ভঙ্গে করেছেন এমন আটজন ক্রিকেটার, কোচ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের তালিকা গত মঙ্গলবার প্রকাশ করে আইসিসি। সেই তালিকায় নাম আসে বাংলাদেশের নাসিরের।
নাসিরসহ আটজন আছেন এই দুর্নীতির তালিকায়। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি আছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তারাও। দুই বছরের তদন্ত শেষে এই তালিকা এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আইসিসির কাছে জমা দেয়। আর আইসিসি অভিযুক্তদের তালিকায় প্রকাশ করে। তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছে।
নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- তিনি একটি ৭৫০ ডলার মূল্যের (বর্তমান বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা) একটি উপহার পেয়েছেন। কিন্তু কে তাকে এই উপহার দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাকে সেটার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। ম্যাচ পাতানোর জন্য তিনি কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কি না সে বিষয়টিও পরিষ্কার করতে পারেননি।
২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী, প্রস্তাব পেয়েও দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে অভিযোগ না দেওয়া, বিষয়টি তাদের না জানানো কিংবা তাদের কাছ থেকে গোপন করার মতো অভিযোগও আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২.৪.৬ ধারাও ভেঙেছেন নাসির, সম্ভাব্য দুর্নীতির তদন্তে কোনো ধরনের গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানানো বা ব্যর্থ হওয়া।
অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে নাসিরই একমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এর বাইরে আছেন দলের মালিক ও ম্যানেজারও। এই তালিকায় থাকা শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার), সানি দিলোন (সহকারী কোচ), সালিয়া সামন (স্থানীয় ক্রিকেটার), রিজওয়ান জাভেদ (স্থানীয় ক্রিকেটার), আসহার জাইদি (ব্যাটিং কোচ) ও পরাগ সাংভি (দলের অন্যতম মালিক)
অভিযোগ আনা আটজনের মধ্যে নাসির ও শাদাব ছাড়া এরই মধ্যে ছয়জনকে অন্তর্বর্তীকালীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।