প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৯:৪৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
হরদিপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন ভারত-কানাডা সম্পর্কে যখন টানাপোড়েন চলছে, ঠিক তখন কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের আরেক নেতা খুন হলেন। খুন হওয়া এই নেতার নাম সুখদুল সিং।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই তথ্য জানিয়েছে।
সুখদুল সিং নামের ওই ব্যক্তি সুখা দুনেক নামেও পরিচিত। কানাডার ম্যানিটোবা অঙ্গরাজ্যের উইনিপেগ শহরে গতকাল বুধবার রাতে দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে সহিংসতার মাঝে গুলির আঘাতে নিহত হন তিনি।
সুখদুল কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা এনআইএর গতকাল বুধবার প্রকাশিত তালিকায় সুখদুলকে 'এ ক্যাটাগরির' সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি পাঞ্জাবের মোগা থেকে ২০১৭ সালে কানাডায় পালিয়ে যান।
ভারতের দাবি, সুখদুল ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে কানাডায় গেছেন। তিনি ভারতের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আর্শদীপ দালার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে দাবি করা হয়েছে।
সুখদুল খুন হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কানাডার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সরকারের কাছে 'বিশ্বাসযোগ্য তথ্য' রয়েছে, গত জুনে কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্ট জড়িত।
এ ঘটনার জেরে কানাডা-ভারত একে অপরের কূটনীতিক বহিষ্কারের পর ইতোমধ্যে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছে নয়াদিল্লি। তবে ভিসা না দেওয়া সংক্রান্ত ঘোষণাটি ইতোমধ্যে ভিসা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এছাড়াও, কানাডায় ভ্রমণকারী বা বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের 'সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের' আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
সব মিলিয়ে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, অটোয়া-নয়াদিল্লির সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছে গেছে।
ভারত সরকার খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিংকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীর তকমা দিয়েছে। নিজ্জর (৪৫) ভারতের পাঞ্জাবের নাগরিক এবং তিনি ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তান টাইগার ফোর্সের (কেটিএফ) প্রধান। গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারেতে গুরুদুয়ারার বাইরে খুন হন তিনি। ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে এবং তাঁকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।