বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনশ্রীতে ২ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফজলে নূর তাপস বলেন, বিএনপি মহাসচিব লজ্জায় ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে মুখ লুকিয়েছেন। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন, এসব তাদের মস্তিষ্কে আসে না।
যে নামগুলো এদেশের মানুষের কাছে অপরিচিত ছিল, সেই নামগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাপস বলেন, যারা উন্নয়ন দেখে না, তারা উন্নয়ন করতে পারে না। যাদের চোখে উন্নয়ন নেই, যারা স্বপ্ন দেখতে পারে না, তারা কখনও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তাদের চোখে কোনোদিনও উন্নয়ন দেখা যাবে না।
তিনি বলেন, তারাও ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু তারা জনগণের উন্নয়ন করতে পারেনি। তারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারা মেট্রোরেল দিতে পারেনি, পদ্মা সেতু দিতে পারেনি। তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চিন্তাও করতে পারে না। মাতারবাড়ি (গভীর সমুদ্র বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র), রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসব তাদের কল্পনায়ও আসে না। তারা শুধু চিন্তা করে নিজেদের উন্নয়ন ও নিজেদের পেট ভরার। তারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। তাদের চোখে কোনোদিনও উন্নয়ন দেখা যাবে না। উন্নয়ন দেখতে হলে সাধারণ জনগণের চোখ দিয়ে দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা এসেছিল। তখন আর নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলেনি। তখন আর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলেনি। এখনও বলে না। বেগম খালেদা জিয়াকে তারা ভুলে গেছে। মাইনাসই করে ফেলছে। তাদের আর বেগম খালেদা জিয়ার দরকার নেই। তারা এখন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে। কিন্তু একসময় তারাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার মানেনি। তারা একেক সময় একেক কথা বলে। তারা এখন বলে, আমরা নাকি পাঁচটি আসনও পাবো না। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সর্বসাকুল্যে ৮টি আসন পেয়েছিল। ১০টি আসনও জুটেনি। সুতরাং এসব কথা বলে বাঙালিকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ২ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মাহবুবুল আলম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আজিজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের পাতা/কে