প্রকাশ: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১০:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদীতে পৃথক ট্রাক - মাইক্রোবাস ও সিএনজি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে,নারী ও শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে আরও ৭ জন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর রায়পুরার ভিটিমরজাল এলাকায় অজ্ঞাত যানের ধাক্কায় নারী ও শিশুসহ সিএনজির তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর রাত ২টায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের উপজেলার শ্রীফুলিয়া এলাকায় ট্রাক - মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা ছেলে সহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথম দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের বড়চর গ্রামের মো. কাসেম মিয়ার স্ত্রী দোলনা বেগম (৫৫), তার নাতি আরিয়ান (৭) ও বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের রানা মিয়া (১৮)। পরের ঘটনায় নিহতরা হলেন, মাইক্রোবাসের চালক নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সাবদীবাজার এলাকার সুভাস চন্দ্রের ছেলে সাগর চন্দ্র (৩২)। যাত্রী চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মুন্সীরকান্দি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে এফাজুল হক (৫০) ও তার ছেলে মোস্তাকিম (১৮)। আহতরা হলেন, নিহত এফাজুল হকের স্ত্রী মুক্তা আক্তার (৪৫), ছেলে আশরাফুল প্রধান (১৪), মেয়ে ইলমা আক্তার (১২), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার ফারুক হোসেন (৫০), হাসিদা বেগম (৪২), সানজিদা আক্তার (১৬) ও নূর মোহাম্মদ (৭)। প্রথম ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ জানায়, রায়পুরার মরজাল থেকে ৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি ভিটি মরজাল যাচ্ছিল।
সিএনজিটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা উপজেলার মরজাল শিমুলতলী এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অজ্ঞাত যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে সিএনজি অটো রিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ওই সময় ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ সিএনজিতে থাকা ৩ যাত্রী মারা যায়। চালকসহ আহত হয় আরও ২ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসে করে দুটি পরিবার সিলেটে মাজার জিয়ারতে গিয়েছিল। জিয়ারত শেষে তারা শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ফিরছিল। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের শ্রীফুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেটগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। আর ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজন নিহত হন। পরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রায়হান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে তিনজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। আর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। পরে মরদেহগুলো হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেপরোয়া গতি ও ওভারটেকিং এর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা ট্রাক ও মাইক্রোবাস জব্দ করে থানায় নিয়ে এসেছি। আর মরদেহগুলো নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা বিনা ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।