গেল এক দশকে সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে বিশ্বে ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ইউনেসকোর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলমান ৪৫তম বর্ধিত সভায় এই প্রশংসা করে সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংরক্ষণ প্রতিবেদেন প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে অবমুক্তি লাভ করেছে। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সাতবার এই প্রতিবেদন দিয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে দেশের একটি মহল সুন্দরবন ও পরিবেশ নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, ‘এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না।’ প্রধানমন্ত্রীর সেই কথাতেই এবার স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কোর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ।
প্যারিস দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা রামপালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলো। শুক্রবার তারা সন্তোষ প্রকাশ করে এই বিদ্যুতকেন্দ্রসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলমান উন্নয়ন কর্মকে টেকসই উন্নয়ন হিসেবে চিহ্নিত করে।
এ বিষয়ে ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেসকোর স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম. তালহা তার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ব ঐতিহ্য পরিষদের সব সদস্যের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে ধন্যবাদ পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, এই অর্জন বিগত দেড় দশকে বৈশ্বিক জলবায়ু সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রণী ও নেতৃত্বের আরও একটি স্বীকৃতি।