প্রকাশ: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৫:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এ বছর যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে এতে দেশে আলুর কোনো ঘাটতি নেই, কিন্তু একটি অদৃশ্য হাত আলুর বাজারকে অস্থির করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুরে রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আলুর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া দাম অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে আলু দাম বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সফিকুজ্জামান বলেন, আলুর বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার পাকা রশিদ ব্যবহার করতে হবে। পাকা রশিদ না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় তিনি ওই হিমাগারে ১০ হাজার বস্তা আলু জব্দ করেন এবং পাকা রশিদ ছাড়া মোবাইলে দাম নির্ধারণ করে আলু বিক্রি করার অভিযোগে রসরাজ বাবু নামের ওই ব্যাবসায়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওই হিমাগারে থাকা আলু পাকা রশিদ ছাড়া মোবাইলে দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করার অভিযোগে রসরাজ বাবু নামের এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ব্যবসায়ী রসরাজের কথায় অসঙ্গতী থাকায় এবং তিনি পাকা রশিদ ছাড়া আলু বিক্রি করায় হিমাগারে তার সংরক্ষিত আলু হেফাজতে নিয়ে ২৭ টাকা মূল্যে সেই আলু বিক্রি করে দাম বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেন মহাপরিচালক।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন, মুন্সীগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
ভোরের পাতা/কে